আজ, শুক্রবার | ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৪০

ব্রেকিং নিউজ :

মাতৃত্বকাল ভাতার সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি বেবী নাজনীনের

জাহিদ রহমান : মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা. বেবী নাজনীন বলেছেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সব ব্যতিক্রমী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম হলো মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান। এর আগে কখনই গর্ভকালীন দরিদ্র মায়েদের জন্য এভাবে কোনো সরকার ভাবেনি। কিন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন প্রতিটি মানুষকে তিনি সমানভাবে ভালবাসেন। জননেত্রীর এই ভালোবাসা প্রতিটি দরিদ্র মানুষের দুয়ারে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের।

বৃহস্পতিবার মাগুরা প্রতিদিন ডটকমের সাথে আলাপে এসব কথা বলেন মহম্মদপুর উপজেলার প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা. বেবী নাজনীন।

তিনি বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতাকে শুধু টাকার হিসেবে দেখলে হবে না, এটি একটি সম্মান। এই সম্মান দরিদ্র মায়েদের গর্ভবতীকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যেমন রক্ষা করছে তেমনি প্রতিটি নারী নতুন আত্মবিশ্বাসও খুঁজে পাচ্ছেন।

বেবী নাজনীন জানান দুদিন আগে মহম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের মাতৃত্বকাল ভাতাভোগীদের অংশগ্রহণে সামাজিক সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিশুর পুষ্টিকর খাবার, অটিজম,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, আত্মহত্যাকে নিরুত্সাহিতকরণ এবং করোনা (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতনতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মহম্মদপুর উপজেলা মহিলা বিয়ষক কর্মকর্তা মোছা. শিরিনা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দে, তথ্য সেবা কর্মকর্তা এ্যামেলিয়া জামান সেতু ও বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পান্নু মোল্লা।

বেবী নাজনীন আরও বলেন, দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীর ভাতার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে, যাতে করে কোনো দরিদ্র নারী এই প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয়। একই সাথে এই ভাতা যাতে প্রকৃত দরিদ্র নারী পায় সেটা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সুবিধাদি দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী জনপ্রতিনিধিদের দৃঢ় সম্পৃক্ততার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্ত অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, সুকৌশলে নারী জনপ্রতিনিধিদের মতামত ও পরামর্শ উপেক্ষা করা হচ্ছে।

সবশেষে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সামাজিক সম্মান বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। সেই কাজের প্রতি সু-সম্মান দেখানোর দায়িত্ব রয়েছে প্রতিটি জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের।আর তাই তৃণমূলের প্রতিটি কাজে আমাদের সততা ও দায়িত্বশীলতার নিবেদন থাকতে হবে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology