মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুলে দুইদল শিক্ষার্থির ভলিবল খেলা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হামলার পর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে কবির হোসেন নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ২০ জন কমবেশি আহত হয়েছে।
এছাড়া প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ১০টি বাড়িঘরের ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসি জানায়, মাগুরার হাজরাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান এবং বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা কবির হোসেনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। যার জের ধরে ইতোপূর্বে ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার হামলা পালটা হামলায় একাধিক রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সোমবার বিকালে স্থানীয় রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুল এণ্ড কলেজে শিক্ষার্থিদের মধ্যে ভলিবল খেলা নিয়ে নতুন করে বিবাদমান দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুলের শিক্ষার্থিরা বিদ্যালয় মাঠে অন্যান্য দিনের মতোই ভলিবল খেলছিল। এ সময় খেলার মাঠেই নবম শ্রেণীর ছাত্র নাইমের সঙ্গে একই শ্রেণীর অনিকের ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। কিন্তু স্কুল ছুটির পর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে নাইমের সমর্থন নিয়ে তার পরিবার সংশ্লিষ্টরা আলমখালি বাজার এলাকায় অনিকের উপর হামলা চালায়।
স্থানীয়রা জানায়, হামলার শিকার স্কুল ছাত্র অনিকের পরিবারের লোকজন হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সঙ্গে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে থাকে। অপর দিকে স্কুলছাত্র নাইমের বাড়ি মাগুরার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানের বাড়ির পাশে রাজারামপুর গ্রামে। যে কারণে উভয় শিক্ষার্থির সমর্থনে হাজরাপুর ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার জের ধরে বিকাল ৫ টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানের সমর্থকেরা আলমখালি বাজার এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে চেয়ারম্যান কবির হোসেন, তার সমর্থক আবদুল হান্নান, নাজমুল, মিঠু, বাদশা, সোহান, বাহারুল সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
এছাড়া সন্ধ্যার পর বাশতৈল গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়িতে প্রতিপক্ষেরা লোকেরা হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।