আজ, বুধবার | ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | দুপুর ২:০৪

ব্রেকিং নিউজ :
মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মাগুরা সদরে রানা ও শ্রীপুরে রাজনের দিকেই সবার নজর মাগুরায় ঋষিপাড়ার সদস্যদের মধ্যে কৃষিব্যাংকের সহজশর্তে ঋণ বিতরণ মাগুরায় রানাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন ছাড়লেন ভিপি জাহাঙ্গীর শ্রীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজন-সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জমে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন মাগুরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ পড়ে কাঁদলেন শ্রীপুরের মুসল্লিরা মহম্মদপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যু মাগুরায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ

কৃষকের পরিশ্রমের পাটগাছ ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে

মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার মহম্মদপুরে চলতি বছর পাটের ভালো ফলন হলেও কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় জলাশয়গুলোতে পানি নেই। বিধায় চাষিরা পাট জাগ দিতে পারছে না। বিধায় অনেকেই পাটগাছ না কাটায় ক্ষেতেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে সেচের মাধ্যমে তারা বীজতলা প্রস্তুত থাকলেও পানির অভাবে ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্ঠি হয়েছে।

মাঝে মধ্যে কিছু বৃষ্টি হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। খাল বিলে পানি না থাকায় পাট জাঁগ দেওয়া যাচ্ছে না। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বাধ্য হয়েই কিছু কৃষকরা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার নবগঙ্গা নদীতে পাট জাঁগ দেওয়া শুরু করেছেন। তবে পরিবহন খরচ অতিরিক্ত হওয়ায় ক্ষেতে ফেলে রাখায় অনেকের পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে।

মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে। গত দুই বছরে দাম বেশি পেয়ে পাট চাষে ঝুঁকেছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। এ বছর উপজেলার আট ইউনিয়নের বাবুখালী, দীঘা, বিনোদপুর, বালিদিয়া, নহাটা, রাজাপুর, পলাশবাড়িয়া ও মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নে পাটের ভাল আবাদ হয়েছে। পাট গবেষণায় খরাসহিষ্ণু রবি-১ জাতের পাটের চাষ বেশি করা হয়েছে। তবে এবারের খরায় পাটক্ষেত বাঁচাতে হিমসিম খাচ্ছেন চাষিরা।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, যেসব জমিতে বেলেমাটির পরিমাণ বেশি, সেসব ক্ষেতের গাছ শুকিয়ে গেছে। ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খালবিল, ডোবা-নালায় পানি জমেনি। ফলে পাট কেটে জাঁগ দেওয়া নিয়েও তাদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। অনেক পরিশ্রমের ফলন ঘরে তুলতে না পারার শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

চালিমিয়া গ্রামের চাষি হাফিজ বলেন, ‘তিন বিঘায় পাট চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে ২৫ কাঁঠা জমির পাটগাছ শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় পাট কেটে ফেলব বলে ভাবছি, কিন্তু খালবিলে পানি না থাকায় সেটাও সম্ভব হচ্ছেনা।

দাতিয়াদহ গ্রামের ধান চাষি নাছিম খান বলেন, ‘দুই বিঘা জমির পাট কেটে আমন ধান লাগাব। বীজতলা প্রস্তুত থাকলেও বৃষ্টির অভাবে জমি চাষ করতে পারছি না। দু-এক দিন দেখার পরে ঘণ্টাচুক্তি মেশিন দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করে ধান লাগাবো। কিন্তু এক খরচ করে আবাদ করা পাট কি করবো তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, দাম ভালো হওয়ায় এবার উপজেলায় পাটের চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। অনেকে তিলের চাষ বাদ দিয়ে পাটের আবাদ করেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত ক্ষরার কারনে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচসুবিধা অব্যাহত রাখতে চাষিদের আমরা গভীর নলকূপগুলো চালু করার পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology