আজ, বৃহস্পতিবার | ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | দুপুর ২:৫৯

ব্রেকিং নিউজ :
শ্রীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজন-সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জমে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন মাগুরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ পড়ে কাঁদলেন শ্রীপুরের মুসল্লিরা মহম্মদপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যু মাগুরায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ মাগুরায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাহিদুর রেজা চন্দন ও নবীব আলী মহম্মদপুরে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন শালিখায় ৫ জনের মনোনয়ন পত্র জমা স্মৃতির আয়নায় প্রিয় শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমান স্মৃতির আয়নায় প্রিয় শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমান

মহম্মদপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ ঘরে আগুন

মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার মহম্মদপুরে গ্রাম্য প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে বোনের বাড়ি গরু পাঠিয়ে গোয়ালঘরে আগুন দিয়ে জিল্লুর রহমান নামে এক কৃষক নিজেই বিপদে পড়েছেন।

কৃষক জিল্লুর রহমান মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ফাহিম হোসেনের বাবা।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মহম্মদপুর উপজেলার চর বড়রিয়া গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমানের বাড়ি থেকে চারটি গরু লুটের পর গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার খবর পাওয়া যায়। ওই ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জিল্লুর রহমানের পরিবারের পক্ষ তাদের গ্রামের কয়েকজন প্রতিপক্ষের নাম উল্লেখ করে এই অগ্নিকাণ্ড এবং গরু চুরির দায় চাপানো হয়। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং শুক্রবার বিকালে একই উপজেলার ঢুসরাইল গ্রামে জিল্লুর রহমানের বোনের গোয়ালঘর থেকে চারটি গরু উদ্ধার করা হয়। দুই সপ্তাহ আগে গরুগুলো জিল্লুর রহমানের ছোট ছেলে নোমান সেখানে রেখে আসে বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়, মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মিনা এবং সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে বিগত সময়ে একাধিক হত্যাকাণ্ড এবং বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনা ও মামলা মকর্দমা হয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় নতুন করে এই ঘটনার সূত্রপাত। সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু মোল্যার সমর্থক জিল্লুর রহমান নিজের চারটি গরু বোনের বাড়িতে রাখার পাশাপাশি নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। শুধু তাই নয় স্থানীয় সাংবাদিকদেরকেও তারা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকরাম হোসেনও। তিনি বলেন, এ ঘটনার কারণে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থলে যান। অসত্য তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। এটি বাস্তবায়িত হলে এলাকায় নতুন করে দাঙ্গা বাধানোর সুযোগ পেতো তারা। সেটি থেকে উদ্ধার পাওয়া গেছে।

তবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার দায়ে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology