মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : নৈশ প্রহরিকে বাঁধা হলো। মাথায় আঘাত পেয়ে চিৎকারও করলো। শুধু তাই নয় টহল পুলিশের চোখ-কান এড়িয়ে ২৩টি তালা কেটে ডাকাত দল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরেও ঢুকে গেলো। তারপরও ওসির দাবি এটি ডাকাতি নয়; চুরির চেষ্টা মাত্র।
মাগুরা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিনের এমন উদাসিনতায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মাগুরা শহরের কলেজ রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সীমানা সংলগ্ন সিদ্দিকীয়া মাদরাসা মার্কেটে কামরুল ইসলামের সাইকেল পার্টসের মূল্যবান দোকান। এই মার্কেট ও পাশের মার্কেটে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে নৈশ প্রহরি আবদুল গফ্ফার এবং মন্নু। কিন্তু সোমবার রাত ২ টার দিকে ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দুটি পিকআপ নিয়ে ওই দোকানের সামনে পৌঁছে তাদের মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় বাঁধা দেওয়ায় তারা নৈশ প্রহরি মননুর মাথায় আঘাত করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিত্সাধিন।
প্রহরিরা জানায়, ডাকাতদল তাদের বেঁধে ফেলার পর কামরুলের পার্টসের দোকানের ২৩টি তালা কেটে ভিতরে ঢুকে যায়। এরই মধ্যে নৈশ প্রহরি গফ্ফার নিজের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে ফেলে ডিসি অফিসের ভিতরে থাকা ট্রেজারি গার্ড পুলিশকে খবর দিলে তারা তড়িৎ সেখানে পেীঁছে যায়। এ অবস্থায় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ডাকাতদল পিকআপ নিয়ে সটকে পড়ে।
নৈশ প্রহরী গফ্ফার বিশ্বাস জানান, ডাকাতদল মুখ বাঁধার পর যখন তালা কাটা শুরু করে। সে সময় শহরে টহল পুলিশ ছিল। তাদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে এতটা সাহস পেলো ডাকাতদল জানি না।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ি কামরুল ইসলামসহ আরও অনেক ব্যবসায়ী জানান, এর আগেও এই দোকানে এবং গত এক বছরে আরও অন্তত ৫টি ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটতে থাকলে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
শহরের প্রধান সড়কে এমন দু:সাহসিক ঘটনার বিষয়ে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এটিকে “চুরির চেষ্টা” বলে দাবি করেন।
মাগুরা সদর থানাধীন কয়েক লক্ষ মানুষের নিরাপত্তা যার উপর তার এমন বক্তব্যে বিস্ময় জাগে। তবে মাগুরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়েই টহল পুলিশ তাড়া করে পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।