আজ, রবিবার | ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | রাত ৪:০৭

ব্রেকিং নিউজ :

মহম্মদপুরে রেলিং ভাঙা ব্রীজে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ৬ গ্রামের মানুষ

মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়ায় কালিগাঙ খালের ব্রিজে নেই দুই পাশের রেলিং। তার উপর সেখানে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ফাটল। ভাঙা অবস্থায় পার্শ্ববর্তি ৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে। বিশেষ করে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজগামী ছেলে-মেয়েদের এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ চরমে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে ৬ ফুট প্রস্থ ও দৈর্ঘ্যে ১৩৫ ফুটের ব্রিজটির দু’পাশের রেলিং ভাঙা। মাঝামাঝি স্থানে বড় অংশজুড়ে নতুন করে ফাটটের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচলের সময় ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটলেই ২৫ ফুট নিচে পানিতে পড়ে যায়। যে কোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরও ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রীজটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, শিগগির সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।

মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন খালের উপর ২২ বছর আগে গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। সেখানে যানবাহন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। সরু হওয়ায় শুধু রিকশা, অটোরিকশা ও রিকশাভ্যান চলাচল করে থাকে। তাও আবার একদিকের যান পার হওয়ার সময় অন্যদিকের যানকে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এ সময় পথচারীদেরও সেতু দিয়ে চলাচলের কোনো জায়গা থাকে না।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার  বালিদিয়া, নিখড়হাটা, শ্রীপুর,কলমধরী চরবড়রিয়া, গবরনাদা, মৌশা গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। নিয়মিত বালিদিয়া দক্ষিণ পাড়া বাজার, শিকদার মোড় বাজার,বালিদিয়া দক্ষিনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সরকারি আসাদুজ্জামান কলেজ, বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিদিয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ জনগণ যাতায়াত করে। ব্রিজের উত্তর পাশে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছোট ছোট শিশুরাও এ ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে যেতে ভয় পায়।

বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাফুজুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুরা এই ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে আসতে চায় না। এখন খালে প্রচুর পানি অভিভাবকরাও স্কুলে পাঠাতে ভয় পান। তিনি আরো বলেন ৭-৮ বছর আগে স্থানীয় বখাটেরা ব্রিজের রড ভেঙে বিক্রি করে দেয়। আমরা বাঁধা দিলেও কাজ হয়নি। রেলিং না থাকায় পারাপারের জন্য বিপদজনক হয়ে গেছে।

বালিদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মিনা বলেন, ব্রিজটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমি নিজেই ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করি। ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ব্রীজটির দ্রুত সংস্কার দাবি করছি।

মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসাইন বলেন, আমরা ব্রিজের নতুন ডিজাইন ও প্যানের তথ্যদি সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology