মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মাগুরায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় সাধারণ গ্রাহকরা ঝুঁকি নিয়ে লেনদেন করছে। প্রায়শই সেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছেন।
তথ্যমতে গত বছর ৫-৭টি ছাড়াও এ বছরের শুরুতেই একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বুধবার দুপুরে মাগুরার সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের রাবেয়া বেগম নামে এক বৃদ্ধা স্বামীর পেনশনের টাকা উত্তোলনের পর ব্যাংক ভবনেই ছিনতাইকারী শিকার হন।
পঁচাশি বছর বয়স্কা বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম জানান, প্রতি মাসে তিনি একাই আসেন পেনশনের টাকা তুলতে। এদিনও এসেছেন তেমনি। ব্যাংকের তিনতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হঠাত্ করেই এক যুবক তার সামনে এসে দাঁড়ায়। সরকার প্রত্যেককে করোনার ভাতা দিচ্ছে। কিন্তু ভুল করে তাকে দেয়া হয়নি। এমনসব কথা বলে তার কাছ থেকে উত্তোলিত ৬ হাজার ৪ শত ২৭ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ওই যুবকের নাম সোহাগ এবং গ্রামের বাড়ি মাগুরার বারাশিয়া গ্রামে বলে তাকে জানিয়েছিল। কিন্তু চোখের পলকেই সে টাকা নিয়ে মটর সাইকেল চালিয়ে সরে পড়ে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ছিনতাইকারী যুবককে শনাক্ত করতে ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা সিসি ক্যামেরার ছবি দাবি করলেও তিনি সেটি দিতে ব্যর্থ হন ব্যবস্থাপক।
এ বিষয়ে মাগুরা সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক রশিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকে ৮টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু সংযোগটি দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে আছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বিধায় কিছু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
তবে ব্যাংক কাউন্টার থেকে সকলকে সতর্ক থাকার জন্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে দুয়েকদিনের মধ্যে সংযোগটি সচল করা যাবে বলে আশ্বাস দেন।