মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এবং ডক্টর বিরেন শিকদারের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের পরিবারের কেউ মামলা করতে রাজি না হওয়ায় মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের উত্তর বীরপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। তবে মামলা সম্পর্কে নিহতের পরিবারের কারো সাথে বাদির কোনো কথা হয়নি বলেও পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
মাগুরা সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২১ আগস্ট রাতে রেকর্ডভূক্ত মামলাটিতে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এবং মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ডক্টর বিরেন শিকদার ছাড়াও সুনির্দিষ্ট ৬৭ জন এবং অজ্ঞাত একশত থেকে দেড়শতজনকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সে প্রথম থেকেই অংশ নিয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলে সে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। পরে ছাত্র আন্দোলনের সমš^য়কারীদের আহŸানে ৪ আগস্ট ফরহাদ আরো কয়েক বন্ধুকে নিয়ে মাগুরা শহরে মিছিলে অংশ নেয়। দুপুরের পর তারা মিছিলটি নিয়ে শহরের পারনান্দুয়ালী ব্রীজের উপর পৌঁছলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় ফরহাদ। পরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নিহত ফরহাদের ভাই বড় ভাই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমার ভাই মারা গেছে। মামলা দায়েরের পর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হোক এটি চাইনা বলেই মামলার প্রতি আমাদের আগ্রহ নেই। কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হলেও মামলাটির বাদির সাথে আমাদের কোনো কথা হয়নি। তাকে চিনিও না।
মামলার বিষয়ে বাদি জামাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মেহেদী রাসেল বলেন, মামলাটির বাদি নিহতের পরিবারের কেউ না হলেও তারা একই সাথে মিছিলে অংশ নেয় এবং সেখানে আসামীদের ছোড়া ককটেলে সে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।