মাগুরা প্রতিদিন : পরপর দু্ইদিন সমন দেওয়ার পরও ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুই ডাক্তার উপস্থিত না হওয়ায় মঙ্গলবার মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সপ্তম দিনের সাক্ষীর শুনানি হয়নি।
মাগুরার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রস্তুত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ওই দুই সহকারী অধ্যাপককে বুধবার সাক্ষ্য প্রদানে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, সপ্তম কার্যদিবসে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের ২ চিকিৎসককে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তলব করা হয়। কিন্তু তারা আদালতে না আসায় ৭ মে বুধবার আবারও দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে একবার সমন ও একবার ওয়ারেন্ট প্রসেস দেওয়া হয় ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট প্রসেস করা হয়েছে।
২০ এপ্রিল মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মামলাটির বাদি সহ মোট ৩৭ জন সাক্ষী। সোমবার পর্যন্ত ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ৮ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে। বুধবার বাকি দু’জন ডাক্তারের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলে এই মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মামলার রায় দেয়া সম্ভব হবে বলে মামলার পিপি জানান।
এর আগে মঙ্গলবার সকালেই ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে প্রধান অভিযুক্ত হিটুশেখসহ সব আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালি গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি। ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।