মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে অবৈধ ব্যাটারি কারখানার এসিড সীসার বিষক্রিয়ায় গবাদী পশুর মৃত্যু ও জনস্বস্থ্যের ঝুঁকির বিষয়টি তদন্ত করতে ঢাকা আইইডিসিআর থেকে ৭ সদস্যের একটি টিম আক্রান্ত এলাকায় কাজ শুরু করেছে।
বুধবার সকালে তারা বারাশিয়া গ্রামে গিয়ে ব্যাটারি কারখানার পাশ্ববর্তি এলাকায় বিভিন্ন পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন।
এ বিষয়ে মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা জানান, তদন্ত টিমটি অন্তত ৩ দিন মাগুরায় থাকবে। মঙ্গলবার বিকালে তারা ঢাকা থেকে মাগুরায় এসেছে। ইতিমধ্যে তারা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। তদন্ত কাজ শেষ হলে তারা সিভিল সার্জনের দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। সে অনুযায়ী পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইইডিসিআর এর মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সোহেল রহমান ৭ সদস্যের এই তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, মাগুরা সদরের বারাশিয়া গ্রামে অবৈধ ওই ব্যাটারি কারখানার এসিড সীসার বিষক্রিয়াযুক্ত ঘাস ও খড় খেয়ে নভেম্বরের শেষ দিকে ২৯টি গরু মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে আরো শতাধিক গরু। পাশাপাশি কারখানা এলাকার উত্পাদিত ধানের চালের ভাত ও অন্যান্য সবজি খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে শিশুসহ তিন জনের শরীরে সংশ্লিষ্ট নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২ ডিসেম্বর ওই ব্যাটারি কারখানাটি সিলগালা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। পাশাপাশি গরু মৃত্যুর কারন ও জনস্বাস্থ্যের হুমকির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে আবেদন জানানো হয়। যার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত টিম মাগুরায় এসে কাজ শুরু করেছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বারাশিয়া গ্রামটিকে ‘লক’ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানকার ক্ষেতে উত্পাদিত খাদ্যশস্য ব্যবহারে নিরুত্সাহিত করে নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।