আজ, রবিবার | ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | বিকাল ৫:৩৫


ঔষধ শিল্পের সংকট নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের উদ্বেগ প্রকাশ

মাগুরা প্রতিদিন : সম্ভাবনাময় ঔষধ শিল্পে সরকারের নীতিগত অসঙ্গতি ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে সংকট ও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এই শিল্প দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে, তাই এর সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশে তৈরি মানসম্পন্ন ঔষধ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়া দেশীয় চাহিদার প্রায় শতভাগই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। এপিআই উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পথেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব জানান, অতীতে বিএনপি সরকারের সময় ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ১৯৯৪ সালে ঔষধের প্রাইসিং পলিসি প্রণয়ন, ২০০২ সালে জাতীয় ঔষধ নীতি হালনাগাদ, ২০০৩ সালে ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ শক্তিশালীকরণ, ট্রিপস ছাড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাশ্রয়ী জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন, রপ্তানি প্রণোদনা প্রদান এবং গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের একপেশে নীতিমালা, স্বচ্ছতার অভাব এবং কিছু বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা এ খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ঔষধের তালিকা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে গঠিত টাস্কফোর্স এবং ডিসিসির টেকনিক্যাল সাব কমিটিতে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি না রাখা উদ্বেগজনক।

মির্জা ফখরুল আরও জানান, গত প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ঔষধের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘদিন ঔষধের দামও সমন্বয় করা হয়নি। এর ফলে ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগে ট্রিপস ওয়েভার হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তিনি দ্রুত নতুন ঔষধ নিবন্ধন ও প্রয়োজনীয় নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প আজ শুধু একটি উৎপাদন খাত নয়, বরং কৌশলগত জাতীয় সম্পদ। সরকার, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের যৌথ উদ্যোগেই এ খাতকে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।”

বিএনপি আশা প্রকাশ করে বলেছে, শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে সরকার, যাতে দেশের ঔষধ শিল্পের স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক সুনাম অক্ষুণ্ন থাকে।

::::;

সরকারের অস্বচ্ছ এবং একপেশে নীতি-নির্দেশনার কারণেই দেশের ওষুধ শিল্প ঘিরে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়ে উদ্বেগ জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছর যাবৎ নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। এছাড়া অনেক দিন যাবৎ ওষুধের মূল্য সমন্বয়ও করা হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা প্রণয়নে কাজ করা টাস্কফোর্স কমিটি এবং ডিসিসির টেকনিক্যাল সাব কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এটি শিল্পের স্বার্থবিরোধী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ওষুধশিল্পের নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। এই খাতের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের মতামত গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে বের করাই সরকারের জন্য শ্রেয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনো কমিটি গঠন বা নীতি প্রণয়ন সমর্থনযোগ্য নয়। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরিস্থিতি মাথায় রেখে এই শিল্পের সুরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের চাহিদার প্রায় শতভাগ ওষুধ এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশি ওষুধ রফতানি হয়। এই খাত এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডেন্ট) উৎপাদনেও সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিএনপির শাসনামলে এই শিল্পের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৪ সালে ওষুধের মূল্যনীতি প্রণয়ন, ২০০২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি হালনাগাদ, ২০০৩ সালে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ শক্তিশালীকরণ, ট্রিপস ছাড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাশ্রয়ী জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন, রফতানি প্রণোদনা এবং গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধ নিবন্ধন দেওয়া হয়নি এবং ওষুধের মূল্য সমন্বয়ও করা হয়নি। এতে ট্রিপস ওয়েভার সুবিধা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। তাই নতুন ওষুধ নিবন্ধন দ্রুত শুরু করা জরুরি।

বিএনপি আশা করে, সরকার ওষুধশিল্পের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology