মাগুরা প্রতিদিন: চার দফা দাবির বাস্তবায়ন না হওয়ায় ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ডাক অনুসারে ১ ডিসেম্বর সোমবার থেকে মাগুরা সহ সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে। এতে পরীক্ষায় যেতে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মাগুরা জেলার ৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিদ্যালয়গুলোতে “সহকারী শিক্ষক” পদটি ৯ম গ্রেডভুক্ত বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণ, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট দ্রুত প্রকাশ, শূন্যপদে নিয়োগ–পদোন্নতি–পদায়ন, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া টাইমস্কেল–সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরি এবং সহকারী শিক্ষকদের ২০১৫ সালের পূর্বের মতো ৩/২ ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বেতন সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে এই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায়—বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সহকারী শিক্ষকরা।
তারা জানান, গত ২৪ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র যৌথ বিবৃতির ভিত্তিতে এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রি-পদকে ৯ম গ্রেডভিত্তিক ক্যাডার করার দাবিতে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা গভীর ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করলেও তারা পদোন্নতি ও ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেলেও বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে বৃহত্তর স্বার্থে তারা বাধ্য হয়ে কঠোর কর্মসূচি শুরু করেছেন।
তারা বলেন, দীর্ঘদিনের পেশাগত মর্যাদা ও বেতন–ভাতা সংক্রান্ত চার দফা দাবি আদায়ে সরকারের কোনো সুরাহা না পেয়ে রবিবার (৩০ নভেম্বর) মাউশি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। তবে দাবি না মানায় সেখানেই তারা লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া লাগাতার কর্মবিরতির কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্থা এড়াতে এবং শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি দ্রুত মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মন্তব্য করেন তারা।