 
								
                            
                       
মাগুরা প্রতিদিন : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।(প্রেসবিজ্ঞপ্তি)
এ উপলক্ষে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঢাকায় ৩৫—৩৬ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ শহীদ কর্ণেল তাহের মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসুচির সুচনা করা হয়। এরপর দলের শহীদ বিপ্লবী এবং প্রয়াত নেতাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে বিকাল ৪ টায় জাসদ কার্যকরী সভাপতি এড. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সহ—সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, জাতীয় শ্রমিক জোট—বাংলাদেশের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদের জনসংযোগ সম্পাদক ও জাতীয় যুবজোটের সভাপতি শরীফুল কবির স্বপন, জাসদের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনির হোসেন, দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জাসদ ঢাকা মহাগর দক্ষিণের সহ—সভাপতি এড. মহিবুর রহমান মিহির, জাতীয় আইনজীবী পরিষদের নেতা এড. মোহাম্মদ সেলিম, জাতীয় নারী জোটের নেত্রী সৈয়দা শামীমা সুলতানা হ্যাপি, জাসদ ঢাকা মহানগর (পূর্ব) সহ—সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর (পশ্চিম) সহ—সভাপতি এড. আবু হানিফ, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ প্রমুখ।
জাসদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের পরিচালনায় আলোচনাসভার সভাপতির ভাষণে রবিউল আলম বলেন, ১৯৭২ সালে ৩১ অক্টোবর বৈষম্য ও শোষণ মুক্তি এবং নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্য নিয়ে জাসদের জন্ম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, রাষ্ট্রের চার মূলনীতি এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রশ্নে জাসদ আপোষ করবে না। জাসদ সকলের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর চায়।
এ সময় তিনি বলেন, জাসদ সভাপতি জাতীয় বীর জননেতা হাসানুল হক ইনুর বিচারিক হত্যার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জনগণের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুমের মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারসহ এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকদের হত্যার চক্রান্ত বন্ধ, বিচার বহিভূর্ত হত্যা, অপহরণ, গুম, ঢালাও মামলা—গ্রেফতার, নির্যাতন—নিপীড়নের অবসান; নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, শিশু ও নারী নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বক্তারা অবিলম্বে বন্ধ কল—কারখানা চালু, শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধ, বাজার সিন্ডিকেট ধবংস, দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতি নিয়ন্ত্রণ; শ্রমজীবী, দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিও জানান।
আলোচনা সভায়, বিদেশীদের হাতে বন্দর তুলে না দিয়ে স্থানীয় জনবল দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার আহবান জানানো হয়।