মাগুরা প্রতিদিন : জুনিয়র অ্যাথলেটিসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন বিকেএসপির শিক্ষার্থী আজমি খাতুন। তাঁর গ্রামের বাড়ি মাগুরার পৌর এলাকার বাটিকাডাঙ্গা।
মাগুরার মেয়ে আজমি হাতঘড়িতে ১২.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভেঙেছেন গত বছর সুমাইয়া আক্তারের গড়া রেকর্ড।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ৩০ মে শুক্রবার থেকে শুরু হয় দু’দিন ব্যাপী ৩৯তম জাতীয় জুনিয়র (বয়সভিত্তিক) অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. নাঈম আশফাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল আলম।
প্রতিযোগিতায় বিকেএসপির হয়ে আজমি রেকর্ড গড়েছেন কিশোরীদের ১০০ মিটার রিলেতে। এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় দিনে আজমি খাতুন ২০০ মিটার স্প্রিন্টারেও সবাইকে পেছনে ফেলে স্বর্ণ জয়লাভ করেন। এর আগে এ বছরের জানুয়ারিতে বিকেএসপিতে আয়োজিত বিকেএসপি কাপ আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্সেও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়ে দ্রুততম মানবী হন আজমি খাতুন।
মাগুরার শহরতলী বাটিকাডাঙ্গার মেয়ে আজমি’র বাবা আলেফ মল্লিক পেশায় একজন কৃষক। মায়ের নাম সাবিনা খাতুন। বাটিকাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই আজমি দৌঁড়ে প্রথম হতেন। শহরের পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২০১৮ সালে তিনি জেলা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও দ্রুততম মানবী হন। ২০১৯ সালে তিনি বিকেএসপিতে ভর্তি হন।
আজমি খাতুনের ইচ্ছে তিনি দেশের দ্রুততম মানবী হবেন এবং আগামী ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সেভাবেই তিনি নিজেকে সেভাবে প্রস্তত করেছেন। একেবারেই সাধারণ পরিবারের মেয়ে আজমি সময় পেলেই বাবা মার সাথে কৃষিকাজও করেন। কৃষি কাজ করতে গিয়ে একবার হাতে আঘাতও পান।
মাগুরা প্রতিদিন ডটকমের সাথে আলাপকালে আজমি জানান, তিনি সামনের দিনগুলোর জন্য জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, জাতীয় পর্যায়ে মাগুরার মাটিতে জন্ম নেওয়া কোনো স্প্রিন্টার আজমিরের মতো সাফল্য দেখাতে পারেনি।
৩০ মে গড়া রেকর্ডের পর আজমিরের সাফল্যের সংবাদ জানতে পেরে সোশাল মিডিয়াতে মাগুরাবাসী তাঁকে বিপুলভাবে অভিনন্দিত করছে।