মাগুরা প্রতিদিন : বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা বাজারে বিএনপি অফিসে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনা নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দুুটি পক্ষ মুখোমুখী অবস্থান নেওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে বলে ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, নহাটা ইউনিয়নের বিএনপি পরিবারভূক্ত মশিউর মোল্যা একই গ্রামের করিম মোল্যার কাছে ১ হাজার টাকার দেনা ছিলেন। এই টাকা চাওয়ার ঘটনা নিয়ে গত মঙ্গলবার উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং এক পর্যায়ের উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর ফারুকের বাড়ি সহ অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়িঘর ভাংচুরের পাশাপাশি অন্তত ১০ জন কমবেশি আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি নেতা ফারুক মেম্বরের নেতৃত্বে তার অনুসারিরা নহাটা বাজারের বিএনপির একটি অংশের নিয়ন্ত্রণাধিন রাজনৈতিক অফিসে ভাংচুর চালায়। তবে ইউনিয়ন বিএনপির দুটি পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এই হামলা ভাংচুরের ঘটনা বলে তারা জানান।
স্থানীয়রা জানায়, নহাটা ইউনিয়ন বিএনপি দুটি ধারায় বিভক্ত। এর একটি পক্ষে নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন এবং অপর পক্ষে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আকতারুজ্জামান, ফারুক মেম্বর সহ অন্যান্যরা। দুটি পক্ষ বাজারের দুটি স্থানে দলীয় অফিস বানিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। বেজড়া গ্রামের ঘটনার জের ধরে তারা বিরোধে জড়িয়ে রাজনৈতিক অফিসে ভাংচুর করলেও নেতৃত্বের বিরোধ তাদের দীর্ঘদিনের।
এ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাহমুদ হোসেন রাজনৈতিক অফিস ভাংচুরের জন্যে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আকতারুজ্জামান সমর্থিতদের দায়ি করে বক্তব্য দিলেও আকতারুজ্জামান রাজনৈতিক হানাহানির সাথে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
নহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আকতারুজ্জামান বলেন, রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। দুটি পক্ষ আলাদা অফিস বানিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। কিন্তু হানাহানিতে আমি বিশ্বাসী নই। যে কারণে কোনো অফিসেই আমি অংশ নেই না। তবে বেজড়া গ্রামের হামলায় ফারুক মেম্বরের লোকজন সহ অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। সেই ঘটনার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে মাগুরা মহম্মদপুরের নহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর তপন বিশ্বাস বলেন, বিএনপি’র দুপক্ষের সংঘর্ষে বিএনপির একটি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকেই কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।