মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরায় নবগঙ্গা নদীর পাড়ে গঙ্গারামপুরে জেলার মহম্মদপুর, শালিখা এবং সদর উপজেলার ২৮ গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী গঙ্গাস্নান মেলা।
বৃহস্পতিবার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর কালিমন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত শতবর্ষী এ মেলায় মাগুরা, যশোর, নড়াইল সহ পাশর্^বর্তি বিভিন্ন অঞ্চলের ৫ সহস্রাধিক পূর্নার্থীদের সমাগম ঘটে।
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, গঙ্গা নদীকে মাতৃরূপে দেখা হয়। এর জলকেও পবিত্র বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, মৃত্যুর পর যদি মৃত ব্যক্তির ভস্ম গঙ্গায় বিসর্জন না করা হয়, তাহলে সেই আত্মার মুক্তি মেলে না। আবার অনেকের মতে, গঙ্গার তীরে শেষকৃত্যে বিশ্বাসী।
যে কারণে গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে পূণ্য অর্জন এবং পাপ মোচনের লক্ষ্যে সকালে গঙ্গারামপুর কালিমন্দির মন্দির সংলগ্ন নবগঙ্গা নদীতে হাজারে মানুষের সমাগম ঘটে। নদীকে প্রণাম, স্পর্শ, অবগাহন এবং জলপান ও পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে করে তারা নিজেদের পাপ-তাপ এবং জ¦রা-ব্যাধী থেকে মুক্তির প্রার্থনা জানান।
গঙ্গাস্নান মেলার আয়োজক কমিটির সহ-সভাপতি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা নদীতে স্নান করলে যে কোনও মানুষের সমস্ত পাপ নাশ হয়। বিশ্বাস করা হয় যে গঙ্গার জল কখনও নষ্ট হয় না। তাই ১শ বছরের অধিক কাল ধরে প্রতিবছরের এই তিথীতে এখানে সেই বিশ্বাস অনুসারিদের সমাগম ঘটে থাকে।
গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে গঙ্গারামপুর কালিমন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলা এ বছর ১শত ৫ বছর পূরণ করছে। এ উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণের কলেবর বৃদ্ধিতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেও অধিক উৎসাহ দেখা যায়। নদী তীরে আয়োজিত গ্রামীণ মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ীরাও নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেন।
বিকালে মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও শ্রীকৃষ্ণের নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের। যেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রবিউল ইসলাম নয়ন উপস্থিত ভক্তবৃন্দের সাথে কুশল বিনিময় করে এ এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের তীর্থস্থান খ্যাত কালিমন্দির এবং গঙ্গাস্নান ঘাটের উন্নয়ন ও শ্রীবৃদ্ধিতে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
নয়ন বলেন, সকল ধর্মের আমাদের নেতা তারেক জিয়া বলেছেন, ধর্মের উর্ধ্বে মানুষ। বিএনপি সকল ধর্মের মানুষের বসবাসের উপযোগী একটি দেশ চায়। মাগুরায় উত্সব মুখর পরিবেশে উত্সব উদযাপিত হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।