আজ, শুক্রবার | ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | রাত ৩:৩৫

ব্রেকিং নিউজ :
বোনের বাড়িতে গিয়ে মাগুরা সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা মাগুরা সদর উপজেলায় রানা শ্রীপুরে রাজন নির্বাচিত মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মাগুরা সদরে রানা ও শ্রীপুরে রাজনের দিকেই সবার নজর মাগুরায় ঋষিপাড়ার সদস্যদের মধ্যে কৃষিব্যাংকের সহজশর্তে ঋণ বিতরণ মাগুরায় রানাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন ছাড়লেন ভিপি জাহাঙ্গীর শ্রীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজন-সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জমে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন মাগুরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ পড়ে কাঁদলেন শ্রীপুরের মুসল্লিরা

সাকিব কেন টং দোকানে চা খেতে!

জাহিদ রহমান : সাকিব আল হাসান বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার আর বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের মহানায়ক হলেও জন্মভূমি মাগুরাতে এলে তিনি বরাবরাই সাধারণ। মাগুরাতে এলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, ঘুরেবেড়ানো, ছবি তোলা, এগুলো তার সহজাত আচারণের সাবলীল বহিঃপ্রকাশ। নিজেকে তিনি কোনোভাবেই আলাদা করে দেখেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিবের সাদামাটা সরল এই উপস্থাপনকে ভক্তরা খুবই উপভোগ করে থাকেন।

এবারের ঈদেও সাকিব ব্যতিক্রম ছিলেন না। ঈদের দিন তাই সাকিব আল হাসানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলে। সাকিব এক বন্ধুসহ মাগুরার একটি টং দোকানে বসে চা পান করছেন। ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট হওয়ার পরপরই দুনিয়াময় ছড়িয়ে পড়ে। আসলে সেদিন ছবিটির সরল সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ না করে পারেনি। ঐদিন ছবিটি পোস্ট করেন সাকিবের কাছের সেই বন্ধু খান নয়নই। টং দোকানে চা পানের দৃশ্যে সাকিবের সঙ্গী ছিলেন তিনি।

খান নয়ন ছবিটি পোস্ট করার সাথে লেখেন ‘বৃষ্টিময় ঈদের দুপুরে মাগুরার টং এর দোকানের চা, আহা!’ কিন্তু এই টং দোকানটা কোথায় ছিল তা সবার কাছেই অজানা থেকে যায়। আর হঠাৎ করেই কেন টং দোকানে চা খেতে ছুটলেন তাও জানা হয়নি কার।

ঈদ উল আজহা উপলক্ষ্যে সাকিব আল হাসান স্ত্রী-সন্তানসহ মাগুরাতে আসেন। ঈদের দিন সকালে শহরের নোমানী ময়দানে বাবার সাথে ঈদের নামাজ পড়েন তিনি। নামাজ শেষে সবার সাথে কূশল বিনিময় করে বাসায় ফেরেন। কিন্তু সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপভোগ্য হলেও ব্রেক পাচ্ছিলেন না। তাই নির্জন কোনো এক জায়গায় একটু ব্রেক নেওয়ার মনস্থ করেন। সেই ভাবনা থেকেই প্রিয় বন্ধু খান নয়নকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

সাকিবের সেদিনের সঙ্গী খান নয়ন জানান, অবিরত বৃষ্টি ধারার মাঝে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেন শহর থেকে দূরে কোথাও একটু ঘুরবেন আর কোনো নির্জন টং দোকানে চা খাবেন। দুজনে তাই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ড্রাইভিং সিটে থাকেন যথারীতি সাকিব। বাসা থেকে বৃষ্টিভেজা পথ ধরে দুজনে ঢাকা রোড হয়ে আয়েশে ছুটে চলেন ঝিনেদার দিকে। হাটগোপালপুর পর্যন্ত যান। এবার ফিরতি পথে আলমখালী বাজার সংলগ্ন এলাকাতে একটি চায়ের টং দোকান দেখতে পান। দুজনে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন। ওখানে দোকানের বেঞ্চে বসে প্রথমে চপ আর পেঁয়াজু খান। এরপর সাকিব বন্ধু নয়নকে নিয়ে আয়েশ করে লাল চা পান করেন। দোকানের চপ, পেঁয়াজুও খুব মজার ছিল। আর তাই ভাবী শিশিরের জন্যও কিছু নিয়ে আমরা বাসায় ফেরেন।

এখানেই শেষ নয়। খান নয়ন বলেন, ‘সাকিব চেয়েছিল বৃষ্টিস্নাত এই সময়ে নির্জন কোনো জায়গায় বসে চা খাবেন। হলোও তাই। কিন্তু যিনি চা বিক্রি করেন তিনি চায়ের দাম কোনোভাবেই নেবেন না বলে জোরাজুরি করতে থাকেন। দোকানদার একসময় আনসারে চাকরি করতেন। এখন অবসর নিয়ে চা বিক্রি করেন। প্রথমে সুপারস্টার সাকিবকে নিজ চোখের সামনে দেখে খানিকটা বিস্মিত হন। আর তাই বিনীতভাবে পরম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশও ঘটান। পরে অনেকে বুঝিয়ে দাম পরিশোধ করি।’

খান নয়ন আরও বলেন, সুপারস্টার সাকিব জন্মভূমি মাগুরাতে খুবই সাধারণ। মাগুরাতে এলে নিজের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা ভুলে যান। দেখবেন এবারও বন্ধুদের সাথে নতুন ব্রীজে ঘুরতে গিয়েছিল। ওখানে সবার সাথে ছবি তুলেছে। আসলে কৈশরের সেই দূরন্তপনা, মিষ্টি স্মৃতি ওকে খুব টানে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology