মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচারকার্য ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার জন্যে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে মাগুরার সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।
২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতের ফাঁসির দাবি নিয়ে রবিবার সকাল থেকে মাগুরায় বিক্ষোভ শুরু করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। সকাল ১০ টায় মাগুরার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পাশর্^বর্তি ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, যশোর সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ চত্ত¡রে। পরে তারা ফাঁসির দাবি জানিয়ে মিছিল নিয়ে অবস্থান নেয় মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে। প্রধান ফটোকের সামনে জড়ো হওয়া হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাঘাত ঘটে।
এ অবস্থায় মাগুরা সেনাক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মেজর সাফিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলীসহ দায়িত্বশীল অন্যান্য কর্মকর্তারা হাইকোর্টের নির্দেশনার বিষয়টি উপস্থাপন করলে বিক্ষোভকারীরা আদালতের সামনে থেকে সরে যায়। তবে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ শহরের ভায়নার মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা সেখানে বিকাল ৪ টার আলটিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় সেখানে মাগুরা জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক রাকিবুল ইসলাম, রাতুল, জেলা যুব অধিকারের সভাপতি মো. উবায়দুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মার্শাল জিহাদ সহ ছাত্র শিবিরের কর্মীদেরকেও অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে বিকাল ৪টার কয়েক মিনিট আগে মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল কাদের হাইকোর্টের নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে তাদের মনে করিয়ে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেওয়ার আহবান জানালেও তারা “ভূয়া ভূয়া” স্লোগান দিয়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।
পরে মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানালে উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরই ফাকে দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধে আটকে পড়া যানবাহন বিকাল ৫টার দিকে বেরিকেড এড়িয়ে চলাচল শুরু করে।