আজ, শুক্রবার | ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | রাত ৪:৪৩


নাকোল মাদরাসায় শিক্ষার্থীকে গরম খুন্তার ছ্যাকা

মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরার শ্রীপুরে মাদরাসায় সুপারের খাবার আনতে দেরি হওয়ায় জুনায়েদ হোসেন (১২) নামে এক শিক্ষার্থীকে গরম খুন্তার ছ্যাকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী মাগুরা শহরের আদর্শপাড়ার ভাড়া বাড়ির বাসিন্দা সুজন মিয়ার ছেলে।

ঘটনাটি বুধবার রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল-কমলাপুর দারুল উলুম ইসলামি মাদরাসার।

শিশুটির উপর নির্যাতনের ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নিবরং কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে মাদরাসায় আটকে রাখা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসলে জুনায়েদের বাবা সুজন মিয়া বিকেলে নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে এ বিষয়ে  লিখিত অভিযোগ করেন।

শিশুটির বাবা সুজন মিয়া জানান, চার বছর আগে ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তুচ্ছ ঘটনায়ও মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদের নির্যাতনের শিকার হতে হতো ছেলেকে। তাকে। এদিকে বুধবার রাতে সুপারের খাবার আনতে জুনায়েদকে মাদরাসার পাশে একটি বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে গৃহস্থের খাবার প্রস্তুতে দেরি হওয়ায় জুনায়েদের ফিরতেও বিলম্ব হয়। কিন্তু এ জন্যে জুনায়েদকে অপরাধি করে নির্যাতন করা হয়।

শিশু জুনায়েদ জানায়, রাত ৯ টার দিকে খাবার নিয়ে মাদরাসায় ফিরলেও সুপার ঘনিষ্ট দুই ছাত্র ওয়ালিদ ও সিজান তার হাত বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে পরনের কাপড় খুলে ফেলে। এরপর মোমবাতির আগুনে স্টিলের খুন্তা গরম করে শরীরে ছ্যাকা দেয়। আর এ বিষয়টি প্রকাশ করলে আরও মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।

এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদ এ ঘটনার সাথে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রাতে তাদেরকে মাদরাসায় তালা দিয়ে নিজ ঘরে যাই। কিন্তু কখন এটি ঘটেছে জানা নেই।

নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology