নিজস্ব প্রতিবেদক : মাগুরার তুবা ফার্ণিচার এবং ড্রিম ডিজাইন এন্ড কনসালটেন্ট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উদ্যোক্তা সোহাগ আহমেদ এবং তারই সহকর্মী জামির ১৫ এপ্রিল মধুখালি উপজেলার আড়কান্দি ব্রিজের উপর থেকে মধুখালি পুলিশ কর্তৃক ছিনতাইকালে গ্রেফতার বলে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় পরিবেশিত রিপোর্ট সত্য নয় বলে মাগুরা প্রতিদিন ডটকমের অনুসন্ধানে জানা গেছে।
পুলিশের সাথে ভুল বুঝাবুঝির কারণে মিডিয়াতে এ ধরনের একটি খবর প্রচারিত হয়। মধুখালি থানা পুলিশের মামলার প্রাথমিক তথ্য বিরবরণীতেও লেখা হয়েছে-গতিরোধ পূর্বক মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ।
এদিকে সোহাগ আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি একজন কাঠ ও কনষ্ট্রাকশন ব্যবসায়ী এবং একই সাথে রাজনীতির সাথে জড়িত। ব্যবসার কাজেই ঐদিন তিনি মটর সাইকেলযোগে ফরিদপুরের মাইজকান্দিতে যান। কাজ শেষে রাতে মাগুরা ফেরার পথে মধুখালি বাজার পার হবার পর বাগাট এর কাছাকাছি আসার সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটো ড্রাইভারের ভুলে এ·িডেন্ট হলে তিনি হাত ও পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হন। এ অবস্থায় রাগান্তিত হয়ে তিনি অটো চালককে মারধর করেন। এ সময় টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে মধুখালি থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। টহল পুলিশ প্রথমে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য মধুখালি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে থানায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
সোহাগ আহমেদ আরও বলেন, তিনি মাগুরার সাজিয়ারা গ্রামের একটি উচ্চশিক্ষিত পরিবারের সন্তান। তার ভাইয়েরা বুয়েট, মেডিকেল থেকে পাশ করে উচ্চ পদে রয়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে ভুল না বোঝার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।