নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মাগুরা জেলা জাসদের সহসভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল বিশ্বাস। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি মাঠে আছেন।
বিমল বিশ্বাস প্রতিদিনিই স্থানীয় জনসাধারণের নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে জনসংযোগ করছেন। মানুষের কাছে ভোট প্রার্থণা করছেন। ইউনিয়ন মানুষের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে সত্য কথা বলছেন।
সকাল হলেই তিনি সহযোগীদের নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন বাঁশকোটা, মালন্দ, গাংনালিয়া, গোপীনাথপুর, কামারবাড়ি, মাধবপুর, মৃগীডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামে। প্রার্থী হওয়ার আগে তিনি বেশ কয়েকবার স্থাণীয় জনসাধারণ, প্রতিবেশীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সেসময় তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণের ভালোবাসার প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে তিনি অনেকদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে কাজ করছেন। সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিতে জাসদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি আঠারখাদা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লড়াই করবেন। তিনি সবার সে সময় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বৃহস্পতিবার নিজ ইউনিয়নের মৃগীডাঙ্গা ও চরপাড়াতে উঠান বৈঠক করেন জাসদ প্রার্থী বিমল কুমার বিশ্বাস। স্থানীয় অন্যান্যদের সাথে মাগুরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তীও সঙ্গী হন। সাধারণ মানুষের কাছে তারা শান্তি ও সুশাসনের বার্তা নিয়ে যান।
মাগুরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী জানান, বিমল বিশ্বাস অসাম্প্রদায়িক এক জনমুখী মানুষ। সাধারণ মানুষ তাঁকে পছন্দ করে। তাই সাধারণ মানুষের সময় এসেছে এরকম একজন মানুষকে পছন্দ করা, ভোট দেওয়া। আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে মানুষকে বুঝতে হবে। মানুষের বিবেক বন্দী থাকলে সমাজে কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই প্রয়োজন পরিবর্তনের।
এদিকে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই আঠারখাদার মাঠ যেনো গরম হয়ে যাচ্ছে।
বিমল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, কে বা কারা বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর মশাল পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। বুধবার তার প্রচারে থাকা মাইক কেড়ে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি থানায়ও গিয়েছিলেন। ওসি সাহেব এসব ঘটনা সিরিয়াসলি নিয়েছেন।
মাগুরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাগুরা ঘুরে যাওয়ার পরও আঠারখাদাতে প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধামকি, প্রতীক ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারের লঙ্ঘন। এসব সমাজের মারাত্বক ক্ষতি করে।
মোট ২৯টি গ্রাম নিয়ে আঠারখাদা ইউনিয়ন গঠিত। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হন সঞ্জীবন বিশ্বাস। এবারও তিনি নৌকা প্রতীকে লড়াই করছেন। এর আগে নির্বাচিত চেয়ারম্যান (৯৮-২০১০) অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস তিনিও আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। সাবেক চেয়ারম্যান বেনজির আহম্মেদও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছেন।