মাগুরা প্রতিদিন : ঘুস দূর্নীতি ও স্বাক্ষর জালিয়াতির দায়ে মাগুরার বাগডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বালা এবং যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী আব্দুল হান্নানকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রবীন্দ্রনাথ বালা মাগুরার সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত রাজেন্দ্রনাথ বালার ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামী বরিশালের সদর উপজেলার পশ্চিম বগুড়া সড়কের মরহতুম আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে।
রোববার যশোরের স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক পৃথক তিনটি ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ বালা তার বিদ্যালয়ের দু’শিক্ষক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস ও প্রভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেয়ার কথা বলে চার লাখ ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে তাদেরকে এমপিওভুক্ত এবং নিজের বেতন উচ্চতর স্কেলে করানোর জন্য ব্যবহার করেন। জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ওইসব কাগজপত্র পাঠানো হয় যশোর শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ে। সেখানে কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আবদুল হান্নান অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ওই দু’শিক্ষককে এমপিওভুক্ত এবং প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেলও বাড়িয়ে দেন। এ বিষয়ে ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর দুদকের যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল ওই দুইজনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।
রোববার যশোর জেলা জজ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিনে প্রত্যেকের ৪২০ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড, ৪৬৭ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড, ৪৬৮ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড এবং ৪৭১ ধারায় ২’বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
দুদকের পিপি আশরাফুল আলম বিপ্লব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দু’আসামিই পলাতক থাকায় বিচারক তাদের সাজা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।