মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : বাংলাদেশ পুলিশের ইউনিফর্ম পরে টিকটক ভিডিও করায় পুলিশের আট নারী ও পাঁচ পুরুষ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই ১৩ কনস্টেবল হলেন শাহানা পারভীন শম্পা (মাগুরা), আইরিন আক্তার (পিরোজপুর), আয়েশা বেগম (টাঙ্গাইল), সমাপ্তি ইসলাম (পিটিসি, রংপুর), আবু হানিফা নিপু (হবিগঞ্জ), রিপন চাকমা (আরআরএফ, চট্টগ্রাম), রিমন বড়ুয়া (আরআরএফ, চট্টগ্রাম), মো. রায়হান উদ্দিন (আরআরএফ, চট্টগ্রাম), কামরুন্নাহার আক্তার (নোয়াখালী), সাকিরা আক্তার (হবিগঞ্জ), মোছা. রশনি ইয়ারা (পিটিসি, টাঙ্গাইল), রেজাউল করিম (আরআরএফ, চট্টগ্রাম) ও মো. আশিকুল হক (ঝালকাঠি)।
ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) আব্দুল মোমেনের গত ৬ অক্টোবর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ আদেশের অনুলিপি কমান্ড্যান্ট, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মহেরা, টাঙ্গাইল/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
কমান্ড্যান্ট আরআরএফ, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, মাগুরা ও ঝালকাঠি পুলিশ সুপারদের কাছে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
গত বছর ডিএমপি বিভিন্ন ইউনিটে নির্দেশনা পাঠিয়েছিল- ‘পুলিশের ইউনিফর্ম পরে টিকটক-লাইকির (অ্যাপ ব্যবহার) মতো ভিডিও বানাতে বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ডিএমপির কতিপয় পুলিশ সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। ‘পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো অঙ্গভঙ্গি করে ভিডিও ধারণ করে তা টিকটক হিসেবে আপলোড করা হয়। এ ধরনের কার্যকলাপ রোধে পোস্টদাতাকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্দেশনায় প্রতিটি ফোর্সের ইনচার্জদের সহকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুলিশের পোশাক পরে অথবা পুলিশবিষয়ক কোনো পোস্ট ফেসবুকে আপলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ মেনে চলতে হবে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো অঙ্গভঙ্গি করে ভিডিও ধারণ করে তা টিকটক হিসেবে আপলোড করা হয়। ওই ভিডিও কন্টেন্টগুলোতে অনেকের নেতিবাচক মন্তব্য রয়েছে।