নিজস্ব প্রতিবেদক: মটর বাইকে চড়ে দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার পূর্ব শ্রীকোল গ্রামের বাইকার মফিদুল ইসলাম উজ্জ্বল। এই কৃতিত্ব অর্জন করতে গিয়ে তাকে ৭ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি বাইক চালাতে হয়েছে।মাগুরা প্রতিদিন।
উজ্জ্বল বাইকে চড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গিয়েছেন। ঘুরেছেন আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যখ্যাত অনেক স্থান। ফেসবুকে ট্র্যাভেলার উজ্জ্বল নামে তার আইডি রয়েছে। ভ্রমণের আদ্যপান্ত তিনি শেয়ার করেন সোশাল মিডিয়ায়। বাইকে যখন তিনি বড় কোনো ভ্রমণে বের হন তখন ফেসবুক থেকে লাইভও দেন। পথে পথে বাইক চালানোর মাঝে যে অনিঃশেষ আনন্দ তার সবটুকু তিনি নেন প্রাণভরে।মাগুরা প্রতিদিন।
মফিদুল ইসলাম উজ্জ্বল পেশায় ব্যাংকার। রূপালী ব্যাংক লিমিটেড-এর সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। চাকরি করেন ঢাকাতে । ঢাকাতেই পরিবার নিয়ে তার বসবাস। কিন্তু সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন প্রিয় এফজেডএফ ইয়ামাহা বাইক নিয়ে। ব্যাংকে চাকরি করলেও ভ্রমণ পিয়াসী এই তরুণ থেমে থাকেন নি। বাংলাদেশের সব জেলাতে পা রাখার অদম্য ইচ্ছের কারণে ছুটে চলেছেন। যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই পরিকল্পনা মতো বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। পিচঢালা পথ আর শস্য শ্যামলা মাঠ প্রান্তর পেরিয়ে তিনি ছুটে চলেছেন এক জেলা থেকে আরেক জেলা। আর এভাবেই ৬৪ জেলার মাটি তিনি স্পর্শ করার দারুণ অনুভূতি নিয়েছেন। এ জন্য তাকে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ বাইক চালাতে হয়েছে। মাগুরা প্রতিদিন।
উজ্জ্বল মাগুরা প্রতিদিন ডটকমকে জানান, কিশোর বেলা থেকেই তিনি বাইক চালান। সঠিকভাবে বাইক চালানোর কৌশল, নিয়মকানুন তার জানা। ট্রাফিক আইন মেনে তিনি বাইক চালান। মেনে চলেন সকল ধরনের প্রটোকল এবং প্রোটেকশন নেন। বাইক চালাতে চালাতেই একসময় তার মাথায় এলো ৬৪টি জেলা স্পর্শ করবেন বাইকে চড়ে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত বছরের এপ্রিলে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর থেকে বাইক নিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে পড়েন। এরপর একেক করে ছোট বড় সব জেলা স্পর্শ করেন। সবশেষে গেছেন সিরাজগঞ্জ।
বাইকে চড়ে ৬৪টি জেলাতে যাওয়ার স্মৃতি কীভাবে ধরে রেখেছেন জানতে চাইলে উজ্জ্বল জানান, তিনি যে জেলাতে গিয়েছেন সেখানেই স্মারক হিসেবে জেলা সার্কিট হাউজের সামনে গিয়ে ছবি তুলেছেন। নিজস্ব ফেসবুক পেজে তিনি এসব ছবি নিয়মিত শেয়ার করেছেন এবং তার কাছে এসব ছবি সংরক্ষিত আছে। তার মতে, মাগুরার তরুণ হিসেবে দেশের সব জেলা সার্কিট হাউজের সামনে ছবি তোলার রেকর্ডটাও বোধ হয় তার। এই রেকর্ড আর কারো আছে বলে তার জানা নেই। মাগুরা প্রতিদিন।
দেশের পর এবার উজ্জ্বলের পরিকল্পনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে বাইকে চড়ে ভ্রমণ করা। সব প্রস্তুতি তিনি শেষ করেছেন। এখন ট্রাভেল ভিসা পেলেই ভ্রমণ পিয়াসী এই তরুণ ছুটে চলবেন প্রতিবেশী দেশে। উজ্জ্বল দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী মাসুমা পারভেজ মুন্নীও ব্যাংকার। সোনালী ব্যাংকে চাকরি করেন তিনি। ভারতের পর উজ্জ্বলের পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন অন্য একটি দেশে বাইক নিয়ে ভ্রমণ করা। মাগুরা প্রতিদিন।