মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার চাঞ্চল্যকর আল আমিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন আসামীকে পুলিশ আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর থানায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি ছিনতাইকৃত ইজিবাইকেরও সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জানান, মঙ্গলবার রাতে মাগুরার সদর উপজেলার বেঙ্গাবেরইল গ্রামের মৃত হাসানের ছেলে আল আমিনকে গলা কেটে হত্যা করে চারজন। পরদিন বুধবার সকালে সদর উপজেলার কুকিলা গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে ইতোমধ্যেই ঘোড়ানাছ গ্রামের নুরুল হক মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল মোল্লা (২০), জগদল গ্রামের বসির খানের ছেলে মোঃ মানজাল খান (১৮) ও মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফজাল মন্ডলের ছেলে সুমন হোসেন মন্ডল (২১) কে আটক করা হয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, বাবার মৃত্যুর ছোটবেলা থেকেই আল আমিন একই উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামে নানা লিয়াকত আলীর বাড়িতে থাকতো। সেখানে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে খালা জেসমিন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আল আমিনকে একটি ইজি বাইক কিনে দেন। যে ইজিবাইকের মাত্র ৪ কিস্তির টাকা শোধ হয়েছে। এখনও বাকি ৪৮ কিস্তির টাকা। অথচ ওই ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিতেই আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। যার মূল পরিকল্পনাকারী মহিষাডাঙ্গা গ্রামের শরিফুল মোল্যা। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাথে নেয় একই ওই গ্রামের সুমন মণ্ডল, জগদল গ্রামের মানজাল খান এবং অপর একজনকে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা মঙ্গলবার সকালে আল আমিনের ইজিবাইকটি ভাড়া করে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। পরে সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কুকিলা গ্রামের পাটক্ষেতের মধ্যে নিয়ে তারা ১৪ বছরের কিশোর আল আমিনকে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আল আমিনের মা তৃষ্ণা খাতুন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপর একজন আসামীকে আটকের জন্যে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।