মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় সদর উপজেলার সাচানি গ্রামে মাসুদ (৩২) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি কাজলকে সোমবার ভোর রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে ওই গ্রামের আবু কালামের ছেলে।
রবিবার সকাল ১০ টার দিকে গ্রামের একটি দোকান থেকে ধাওয়া করে বাড়ির মধ্যে পরিবারের সদস্যদের সামনে নির্মমভাবে ওই তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আসামী কাজলকে গ্রেফতারের পর সোমবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ তাকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে। এ বিষয়টি নিয়ে মাগুরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংও করা হয়।
প্রেসব্রিফিং কালে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, আহসান হাবিব, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন, ওসি (অপারেশন) আশরাফুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই নিহত মাসুদের বাবা দাউদ মোল্যা সদর থানায় কাজলসহ মোট তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তার আগেই মাগুরা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান শুরু করে। ভোর রাতের দিকে তাকে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও পুলিশ করা হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, স্থানীয় দলাদলি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল। আবার উভয়ই প্রতিবেশি হওয়ায় দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে নতুন করে তারা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। যার জের হিসেবেই এদিন কাজল ধাওয়া করে মাসুদকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরবর্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
তবে এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
নিহত মাসুদের ময়না তদন্ত শেষে রাতে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাচানি ও পার্শ্ববর্তি বিভিন্ন গ্রামের বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হয়ে আসামী কাজল ও ওই পরিবার সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরে হামলা চালানোর পায়তারা চালালেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে।
নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।