মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এসপি বাবুল আকতারের দুই শিশু সন্তানের জবানবন্দী গ্রহণ করেছে পিবিআই।
হত্যামামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এসআই আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক সোমবার মাগুরা সমাজসেবা কার্যালয়ে বাবুল আকতারের ১২ বছরের ছেলে আকতার মাহমুদ মাহি এবং ৭ বছরের মেয়ে তাবাসসুমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে জিজ্ঞাবাদকালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আশাদুল ইসলাম, প্রবেশন কর্মকর্তা মেহেতাজ আরা এবং পুলিশের নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০ টা তেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে হত্যা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শিশুদের দাদা আবদুল ওয়াদুদের উপস্থিতিতেই তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
পরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা আসামী নয় কেবল স্বাক্ষীমাত্র। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে যতটুকু দরকার ততটুকুই জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে শিশুদের জবানবন্দী গ্রহণ শেষে বাবুল আকতারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ এই মামলাটিকে চক্রান্তমূলক বলে দাবি করে বলেন, আমার ছেলে একজন সৎ অফিসার। সে নিজের স্ত্রীর হত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করলেও তাকেই আসামী বানিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আশাদুল ইসলাম বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিশু আইনের আওতায় তাদের জিজ্ঞাবাদ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। খোলামেলাভাবেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বটি শেষ হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা দুটির তদন্তে আছে পিবিআই।