শাহ আলম : মাগুরায় জেঁকে বসেছে শীত। গত তিনদিনে শীতের সঙ্গে মৃদু বাতাস বইছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি তেমনটা। তীব্র শীতে বেশি বিপাকে পড়েছেন সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় যানবাহন চলতে কম দেখা গেছে। একটু উষ্ণতা নিয়ে আবার অনেকে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাচাঁর চেষ্টা করছে।
দিন মজুর শ্রমিক রেজাউল জানান, শীতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কাজ করতে পারছি না। বাইরে বের হতে পারছি না। সারাদিন কাজ করে আমার সংসার চলে কিন্তু শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি।
রিক্সাচালক কাসেম জানান, দুইদিনে শীত বেশি হওয়ায় ভাড়া কম। লোকজন বাইরে কমবের হচ্ছে। শীত উপেক্ষা করে আমাদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।
মাগুরা শিবরামপুরের কৃষক আকামত জানান, হঠাত্ করে শীত জেঁকে বসায় সবজি ক্ষেতে ক্ষতি হচ্ছে। ফুলকফি,পাতা কফি শিম, লাউসহ নানা সবজি চাষাবাদে বাধাগ্রস্থ হচ্ছি আমরা। বিশেষ করে গত দুইদিনে সূর্যের আলো না থাকায় সবজি ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত কুমার কুন্ডু জানান, হঠাত্ তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। দুইদিনে হাসপাতালে অনেক শিশু নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। শীত এভাবে আরো দুইএকদিন থাকলে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। শীতে শিশুদের বাইরে বেশি না বের হওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শহরের শীতবস্ত্র দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শহরের থানার সামনে ফুটপাতের দোকানের মালিক কেরামত জানান, গত দুইদিনে শীত বেশি থাকায় শীতবস্ত্র কিনতে মানুষের ভিড়বেড়েছে । সব শ্রেণি পেশার মানুষ শীত বস্ত্র কিনছে।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা গৃহিনী নাজমুন নাহার রত্না জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের শীতবস্ত্র কিনতে এসেছি। দাম হাতের নাগালে থাকায় কিছু বস্ত্র কিনেছি।