মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : জমি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধ শহীদুল হকের হাতের কবজি কেটে ফেলা সেই পাষণ্ড সন্তান হানিফকে র্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগেই সোমবার তাকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মাগুরায় সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের উথলি গ্রামের শহীদুল হক (৭০) তার বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে একই পরিবারে বসবাস করেন। অন্যদিকে ছোট ছেলে হানিফ (৪২) বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র আলাদা বসবাস করে আসছিলো। মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে নিয়ে পরিবারে বেশ অশান্তি চলছিলো। বিভিন্ন সময়ে বাবার উপর নগদ অর্থের জন্যে চাপ প্রয়োগ করতো। জমিজমাও লিখে দেওয়ার জন্যে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। কিন্তু বাবা শহীদুল হক তার কথায় কোনোভাবেই রাজি হন নি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় গত ২৩ নভেম্বর সকালে শহীদুল হক গ্রামের মধ্যে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন এমন সময় হানিফ ধারালো ছুরি নিয়ে বাবার উপর হামলা চালায়। এতে তার বাম হাতের চারটি আঙ্গুলসহ কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাথায়ও গুরুতর জখম হয় তার। এ অবস্থায় এলাকাবাসির ধাওয়া খেয়ে হানিফ এতদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পাষণ্ড ছেলের আঘাতে আহত বাবা শহীদুল হক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো: শরিফুল আহসান জানান, হানিফ গোপনে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। তার আগেই সোমবার ভোরে তাকে ঝিকরগাছার বালিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মাগুরা সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।