মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তান সরকারের করা ভাতাপ্রাপ্ত রাজাকারদের তালিকা মাগুরার থানাগুলো থেকে গায়েব হওয়ার অভিযোগ করেছেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর।
তিনি মঙ্গলবার মাগুরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাইফুজ্জামান শিখরসহ বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধরণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু, সহ-সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, মুন্সি রেজাউল হক, আবু নাসির বাবলু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, বাসুদেব কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশিদ হায়দার টুটুল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বাকি ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হাসান মাকুল, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিল, অ্যাডভোকেট রাশেদ মাহমুদ শাহিন, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি মিরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম বিপু, যুবলীগ আহবায়ক ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল, সাধারন সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা প্রমুখ।
সভায় সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, ‘রাজাকারদের তালিকা নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেটি পাকিস্তানীদের নিজেদের করা। মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরা রাজাকারদের ভাতা দেবার জন্য প্রতিটি থানায় তালিকা করেছিল। তালিকাভুক্তরা হচ্ছে পাকিস্তানীদের ভাতাপ্রাপ্ত সেই সব রাজাকার। এই তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কিম্বা আওয়ামীলীগ করে নাই। সাইফুজ্জামান শিখর এ সময় বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য মাগুরায় এই তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের সরকার আমলে এটি থানা থেকে গায়েব করে দিয়েছে। আমরা এটি সন্ধান করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাগুরা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ‘প্রশাসনিকভাবে চিঠি পেলে আমরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব’।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্যা নবুওয়াত আলী বলেন,‘মাগুরা সদর উপজেলার রাজাকার আল বদরদের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই জমা দেয়া হয়েছে। অন্য ৩ উপজেলা থেকে তালিকা পাওয়া যায় নি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি’।