মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি গ্রামে স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর বিশ্বজিত মজুমদার বিট্টু (৩০) নামে এক যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সে ওই গ্রামের মিস্ত্রি পাড়ার নির্মল মজুমদারের ছেলে।
সোমবার সকালের আগে কোন এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো-স্ত্রী পূর্ণ (২৩) ও দশ মাস বয়সি ছেলে মানব। স্বামী বিট্টু একই এলাকার নির্মল মজুমদারের ছেলে। সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুই বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান মেয়ে পূর্ণকে বিয়ে করেন বিট্টু। মেয়েটির বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। সে সদরের ঈদগাহ পাড়ার আবুল কালামের মেয়ে।
কিন্তু এ বিয়ে দুই পরিবারের কেউ মেনে নেননি। যে কারণে বিয়ের পর সে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতো। গত আড়াই মাস আগে বিশ্বজিত স্ত্রী এবং শিশু পুত্রকে নিয়ে পারনান্দুয়ালি গ্রামে বাড়ির পাশেই হাজী আবদুল রশিদের বাড়িতে ভাড়া থেকে বসবাস করছিলেন। কিন্তু তাদের গত কয়েক দিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাড়িতে কারো কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসির সহযোগিতায় বিশ্বজিতের দুই ভাই দরজা ভেঙ্গে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ সাড়ে ১১ টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধারের পর বিশ্বজিতকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুপুরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, বিশ্বজিত মজুমদার মানসিক বিকারগ্রস্থ। সে ধারালো বটি দিয়ে স্ত্রী-পুত্রকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে সদর থানায় পুলিশ বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার নামে আত্মহত্যা চেষ্টার মামলাও দায়ের হবে।