আজ, সোমবার | ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১৮


মাগুরায় সড়ক দূর্ঘটনা মামলা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের কাউকে মামলার সুযোগ না দেয়া সহ ঘাতক পরিবহনের চালককে জামিনে সহায়তা করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশ হার্বাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব, গ্রীন লাইফ নামের একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানীর মালিক ডাক্তার মিজানুর রহমান শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন।

গত ১১ অক্টোবর দুপুরে মাগুরার আবালপুর হাওড় এলাকায় পূর্বাশা পরিবহনের ধাক্কায় আরজিনা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ এবং অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য পিকুল হোসেন মোল্যা (৪৮) নিহত হন।

নিহত আরজিনা ডাক্তার মিজানুর রহমানের স্ত্রী এবং সেনা সদস্য পিকুল হোসেন ছোট বোন রেখার স্বামী। গ্রামের বাড়িতে চলমান নির্মাণ কাজ তদারকির উদ্দেশ্যে তারা মাগুরা শহরের কলেজ পাড়া থেকে সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, স্ত্রী ও ভগ্নিপতিকে হারিয়ে আমরা গোটা পরিবার যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সেই সুযোগে হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা না করেই একই দিন রাত ৯ টায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। সেইসাথে মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে আদালতের মাধ্যমে বাসটি মুক্ত করে দেয়।

মিজানুর রহমানের অভিযোগ, সাধারণত দুর্ঘটনা কবলিত কোন বাস আটক হলে সংশ্লিষ্ট থানায় পুলিশের প্রতিবেদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক সাইদুর রহমান পুলিশ প্রতিবেদন না দিয়ে বিআরটি-এ থেকে প্রতিবেদন নিয়ে আদালতে জমা দিয়েছেন। সেই সাথে গত বৃহস্পতিবার ঘাতক বাসের চালককে বাসসহ মুক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ও ঘাতক বাসের চালক মিজানুরের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার মুক্তিপাড়ায়। যে কারণে তিনি এ বিষয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।

হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপ পরির্দশক সমীর নন্দী বাদী হয়ে মাগুরা থানায় দায়ের করা এ সংক্রান্ত মামলায় নিহতের পরিবার যোগাযোগ করেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করেন মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন,‘আমার স্ত্রী ভগ্নিপতি মারা যাওয়ায় আমাদের পরিবারে সদস্যরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত দাফন সম্পন্ন করে নুন্যতম একটু সময় লাগে। কিন্তু আমি আমার স্ত্রী ও ভগ্নিপতির দাফন সম্পন্ন করেছি রাত ১০টায়। তার আগেই পুলিশ কিভাবে বলে নিহতের পরিবার যোগাযোগ করেনি।’

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাইওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক সাইদুর রহমান বলেন,‘নিহতের পরিবার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। জামিন পাওয়া না পাওয়া আদালতের বিষয় এখানে আমাদের কোন হাত নেই। তবে এ বিষয়ে নিহত মর্জিনা বেগমের স্বামী মিজানুর রহমানকে তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের কথা বলা হলেও তিনি রাখেননি।’

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology