মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : দুইদিন আগে বুধবার নজরুল মেম্বরের বাড়িতেই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা নেয়া হয়। আর হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করতে দায়িত্বও বণ্টন করা হয় সেখানে। পুলিশের হাতে আটক জগদল ইউনিয়নের মেম্বর নজরুল সহ অন্যান্য আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা গেছে গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক তথ্য।
১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে মাগুরার সদর উপজেলার জগদল গ্রামে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয়দের পাশাপাশি পেশাদার একাধিক খুনিকেও ব্যবহার করা হতে পারে এমন ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মাগুরা পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে মাগুরা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে মাগুরার সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বর নজরুল ইসলাম এবং অপর মেম্বর প্রার্থী সৈয়দ আলি হাসানের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে ১৫ অক্টোবর সৈয়দ আলি হাসান সমর্থক সৈয়দ রুপাটি গ্রামের একই পরিবারের কবির মোল্যা, সবুর মোল্যা, রহমান মোল্যা এবং পাশের গ্রামের ইমরান নামে এক যুবক নৃশংসভাবে খুন হয়। এ ঘটনার পর ঢাকার গাবতলি এলাকার মহম্মাদীয়া আবাসিক হোটেলে লুকিয়া থাকা অবস্থায় নজরুল মেম্বরসহ ৫ জনকে মাগুরা গোয়েন্দা পুলিশ রবিবার ভোরে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে নানা তথ্য।
প্রেস ব্রিফিংকালে মাগুরা পুলিশ সুপার জাহিরুল ইসলাম জানান, এই হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত। ঘটনার মূল আসামী নজরুল মেম্বর সহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন অস্ত্র নিয়ে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্যদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডে মদদদাতা হিসেবে অন্য কেউ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে পুলিশের হাতে আটককৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছাড়াও মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা গোয়েন্দা শাখার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।