মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরায় সদর উপজেলার আলমখালী পশ্চিম রামনগর এলাকা থেকে উদ্ধার ওমর ফারুক সুমন (২৬ ) এর মৃত্যুর পেছনে রয়েছে স্বর্ণ চোরাচালানির ঘটনা।
সিসি টিভির ফুটেজ ও মোবাইলের কল লিস্ট যাচাই করে সুমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে শুক্রবার যশোরের গোয়ন্দো পুলিশ আটক করেছে। এ সময় সুমনকে হত্যার পরে লাশ গুম করার জন্য ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত সুমনের বাড়ি যশোর জেলার বেনাপোল শার্শা উপজেলার টেংরালী গ্রামে।
পুলিশের হাতে আটককৃতরা হলো, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলিকামুড়া গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে বর্তমানে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকার বাসিন্দা ডালিম কুমার দাস (৩৩), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুরদাস নিয়োগির ছেলে বর্তমানে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকার বাসিন্দা অঞ্জন নিয়োগি (৪৯) ও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে বর্তমানে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন (৩৮)।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, ৩ কোটি টাকার সোনা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ নভেম্বর বেনাপোলের আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালান চক্রের প্রধান হোতা কামালের নেতৃত্বে শার্শা উপজেলার টেংরালি গ্রামের ওসমান গণির ছেলে ওমর ফারুক সুমনকে অপহরণ করা হয়। এরপর তাকে পিটিয়ে হত্যার পরে এসিড দিয়ে পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে মাগুরার রামনগর এলাকার একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রাখে। পরে মাগুরা ডিবি পুলিশের সহায়তায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
যশোর জজ আদালতৈর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার আটক তিনজনের জবানবন্দি গ্রহণ করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।