মাগুরা প্রতিদিন : রেলওয়ের অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য পরিশোধ ছাড়াই জোরপূর্বক নির্মাণকাজ শুরু করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন মাগুরার দুই গ্রামের শতাধিক ভূমি মালিক।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাগুরা-ঢাকা সড়কের ওয়াবদা বাজার এলাকায় কছুন্দি ও কালিনগর ভুক্তভোগী পরিবার গুলো এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
২০১৮ সালে ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প গ্রহণ করে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। তবে জমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় ২০২১ সালের মে মাসে কাজ শুরু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বছরের ২৭ মে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত রেল লাইন এবং স্টেশনের জন্যে অধিগ্রহণকৃত জমির ৫০ শতাংশের ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অধিগ্রহণকৃত জমি বুঝে না পাওয়ায় রেলওয়ের নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি কাজ শুরু করতে গিয়ে ভূমি মালিকদের সাথে বাদবিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।
ভূমি মালিকরাও ক্ষতিপূরণের অর্থ না পেয়ে রেলওয়েকে কাজের সুযোগ দিতে রাজি নয়। এ অবস্থায় ভূক্তিভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, জমির ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধের আগেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। প্রাণ গেলেও এটি কোনোভাবেই হতে দেয়া হবে না।
তারা ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত রেলের কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইতোমধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ ভূমি মালিকের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় কিছু ভূমি মালিকের অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়নি। সেগুলোও নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মধুখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত ১৯.৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রেলপথ স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০২ কোটি টাকা। রেল সংযোগ স্থাপনের এ প্রকল্পে মাগুরা অংশে জমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচ হবে ১১৪ কোটি টাকা।