মাগুরা প্রতিদিন : শিক্ষার্থীদের জন্যে বরাদ্দকৃত প্রায় ৫শ কেজি টেক্সটবুক গোপনে বিক্রি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল মাদরাসায় চার শিক্ষক।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
এলাকাবাসী জানায়, চারতলা নতুন ভবনবিশিষ্ট আমতৈল জেটিএস কাদেরিয়া দাখিল মাদরাসায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বসাকুল্যে দেড়শত জনের মতো। অথচ অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী দেখিয়ে প্রতি বছর অতিরিক্ত সরকারি বই সংগ্রহ করা হয়। ফলে গত বছরের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রায় ৫শ কেজি অব্যবহৃত বই মাদরাসার স্টোরে পড়েছিল। রবিবার বিকালে ওই বইগুলো মুকুল নামে শ্রীপুরের একজন ভাঙ্গাাড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির চেষ্টা করেন মাদরাসার সহকারী সুপার আছাদুজ্জামান সহ চার শিক্ষক। সে উদ্দেশ্যে তারা অতি গোপনে বইগুলো স্থানান্তরের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বইগুলো উদ্ধার করেন।
তবে এ ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তার অনুপস্থিতের সুযোগে রেজাউল, আকিদুল এবং জাবেদ আলি নামে মাদরাসার তিন শিক্ষক এই কাজটি করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে গোপনে সরকারি বই বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাথের অপচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল গণি।
তিনি বলেন, নতুন কিংবা পুরাতন বই যেটিই হোক বিক্রির এখতিয়ার তাদের নেই। এটি খোলা টেণ্ডারের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন করে থাকে। সেখানে মাদরাসার চার শিক্ষক অনৈতিকভাবে প্রায় ৪ শত ৯০ কেজি বই বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।