মাগুরা প্রতিদিন ডটকম ডেস্ক : নীল রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম কিন্তু শক্তি বেশি। চোখের রেটিনাতে যে সমস্ত আলোক সংবেদনশীল কোষ থাকে তারা রেটিনাল নামক কিছু পদার্থের কারনে সক্রিয় হয়। কিন্তু উজ্জ্বল নীল রং এসব রেটিনালকে অতিরিক্ত সক্রিয় করায় রেটিনার কোষসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্ধকার ঘরে এই ক্ষতি বেড়ে যায়।
দীর্ঘসময় ব্যবহারে (সপ্তাহে মোট 24 ঘন্টার বেশি হলে ) ক্রমাগত ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের নীল রশ্মি চোখের আলোক সংবেদনশীল কোষ পৌঁছে , সেখান থেকে রেটিনার ম্যাকুলা ডেনসা ও দৃষ্টিসীমার কেন্দ্রীয় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এটি irreversible damage বা নিরাময় অযোগ্য রোগ। সাধারণত বয়স পঞ্চাশ উর্দ্ধে এটি বেশি দেখা যায়।
অন্ধকার রুমে সেল ফোন বা টিভি ,ল্যাপটপ ব্যবহার করলে চোখের মণি বেশি সম্প্রসারিত হয়। তখন এই রশ্মি আরো বেশি চোখের ভিতরে ঢোকে।
আমাদের চারপাশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে একনাগাড়ে অনেকক্ষণ বা কিছুক্ষন পরপর নীল রশ্মির যে বিকিরণ হয় আমাদের চোখের লেন্স বা কর্নিয়া তা ঠেকাতে পারেনা।
-অরূপ সরকার, Quora