মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : ফ্রি স্টাইল আর্মরোলিংয়ে দ্বিতীয় বারের মতো গিনেস রেকর্ড করলেন মাগুরার মাহমুদুল হাসান ফয়সাল। এবার বাস্কেট বল রোলিংয়ের কারণে তিনি এই স্বীকৃতি পেলেন। এর আগে ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর ফয়সাল প্রথম বারের মতো গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান পান। সেবার তিনি ফ্রি স্টাইল ফুটবল আর্মরোলের কারণে স্বীকৃতি পান।
গিনেস কমিটির কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর আজ সোমবার মাগুরায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তার স্বীকৃতির কথা জানান। বাস্কেট বলে ১ মিনিটে ১৪৪ বার আর্মরোলিংয়ের মাধ্যমে তিনি নতুন রেকর্ডটি করেছেন। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ইংল্যাণ্ডের টমের। তিনি ১ মিনিটে করেছিলেন ১২১ বার।
মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিউটিটের মেকাট্রনিক্স টেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান ফয়সাল মাগুরার সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য সোহেল রানার ছেলে। মা মঞ্জুয়ারা খানম। পরিবারে দুই ভাইবোনের মধ্যে ফয়সাল ছোট।
ছোট বেলাতে তার ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বেশিদূর এগোতে পারেন নি। কিন্তু বরাবরই ইচ্ছে আলাদা কিছু করার। যে ইচ্ছে থেকেই তিনি ফুটবল কসরত নিয়ে লেগে পড়েন অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালেই। বাড়িতে লেখাপড়ার জন্যে বাবা-মায়ের কড়া শাসন থাকলেও ঘরের দরজা বন্ধ করেই নিয়মিত চালিয়ে যান তার অধ্যাবসায়। আর এ অধ্যাবসায়ে নড়াইলে বসবাসরত নানা কাজী রোস্তম আলি এবং নানি হালিমা বেগম অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন বলে জানান ফয়সাল।
ফয়সাল বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি মাগুরার হাজিপুরে। কিন্তু সেখানে আমাকে কেউ চেনে না। চেনেনা শহরেও কেউ। যে কারণে ইচ্ছে আলাদা কিছু করা কিংবা বিশেষ কোন পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করা। আর সেই প্রচেষ্টার অংশই গিনেস বুকে আজকের দুই দুটি স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, আমার আগে মাগুরার আবদুল হালিম ফুটবল নৈপূণ্যের কারণে তিন তিনবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই সেটি টিকে আছে। আমিও আরো কিছু বিশেষ রেকর্ড করতে চাই যার মাধ্যমে নিজের জেলা ছাড়িয়ে সারা দেশকে পরিচিত করে তুলতে পারি।
নিয়মিত অধ্যাবসয়ের মাধ্যমে মাহমুদুল হাসান ফয়সাল দুটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মালিক হলেও এ জন্যে তিনি ওয়াল্টন কোম্পানিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাদের সহযোগিতা না পেলে এই স্বীকৃতির দাবিদার হওয়া সম্ভব হতো না বলেও তিনি জানান।
২০১৮ সালে মাহমুদুল হাসান ফয়সাল ফুটবলে ১ মিনিটে ১৩৪ বার আর্ম রোলের মাধ্যমে প্রথম গিনিজ রেকর্ড করেন। এর আগের রেকর্ডের মালিক ছিলেন ডেভিড র। তিনি করেন ১২৭ বার।