মাগুরা প্রতিদিন : অবশেষে জি আই স্বীকৃতি পেলো মাগুরার হাজরাপুরী লিচু।
সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের “পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মাকসুরা নুর এনডিসি স্বাক্ষরিত “মাগুরার হাজরাপুরী লিচু” ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ৩০এপ্রিল ২০২৫।
সোমবার (৫ মে) মাগুরা জেলা প্রশাসন সূত্রে জিআই-৩৮ ক্রমিকে “মাগুরার হাজরাপুরী লিচু” স্বীকৃতি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট মাগুরা জেলা প্রশাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস (ডিপিডিটি) এর জার্নালে মাগুরার হাজরাপুরী লিচু অন্তর্ভূক্ত হয়।
মাগুরার স্থানীয় জাত হাজরাপুরী লিচুর ডকুমেন্টেশন তৈরি ও আবেদনসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নে সহযোগিতা করে ঢাকার ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)।
দেশের যেকোন লিচুর তুলনায় মাগুরার হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ অনন্য। এই লিচু টসটসে রসে ভরপুর। আকার ও আকৃতিতেও বড়। হাজরাপুরী লিচুর স্বাদ দেশের অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া ভার।
আলিয়া’স কালেকশনের স্বত্বাধিকারী জেনিস ফারজানা তানিয়া বলেন, “হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ দেশের যেকোন লিচুর চেয়ে স্বতন্ত্র। আগাম পেকে যাওয়ায় এটির বিপনন থেকে লিচু চাষি এবং ব্যবসায়ীরা অধিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। জিআই স্বীকৃতির কারণে “মাগুরার হাজরাপুরী লিচু”র ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা সারাদেশে বাড়বে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার কারণে খুব সহজে সারাদেশে ডেলিভারি করতে পারবে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা।”
উল্লেখ যে, জিআই পণ্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেওয়া হয় না। উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষার্থে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সমিতি অথবা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান (ডিসি অফিস, বিসিক, অধিদপ্তর ইত্যাদি) জিআই স্বীকৃতির আবেদন করতে পারে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সকল যাচাই ও প্রক্রিয়া শেষ করে পণ্যটিকে জিআই নিবন্ধন দেওয়া হয়।