মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন শ্রবণা শফিক দীপ্তি। সাধারণ শিক্ষার্থিদের অধিকার আন্দোলনে সোচ্চার স্পষ্টভাষি দিপ্তি লড়ছেন স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র জোট মনোনীত প্রার্থী হয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসি শ্রবণা শফিক দীপ্তি স্বতন্ত্রজোটের প্রার্থি হিসেবে নির্বাচিত হতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
শ্রবণা শফিক দীপ্তি বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি আওয়ামী পরিবারের মেয়ে। তারপরও বেগম রোকেয়া হলের অভ্যন্তরীণ রুমগুলো দখলমুক্ত করার আন্দোলন, মেট্রোরেল বিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলন ও সড়ক আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থিদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
আওয়ামী পরিবারের সন্তান হয়েও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থেকে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১৮ সালে সাত কলেজের অধিভুক্তি ইস্যুতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের উপাচার্য ঘেরাও কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেত্রীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী শ্রবণা শফিক দিপ্তি মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুজ্জামান বাচ্চুর মেয়ে। আপন চাচা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস ও মাগুরার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য অ্যাড. সাইফুজ্জামান শেখর। ফুফু কামরুন লায়লা জলি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে দশম জাতীয় সংসদে সংর¶িত নারী আসনের এমপি ছিলেন।
দিপ্তীর মামা মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল জেলা আওয়ামীলীগের আরেক জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। নানা আলতাফ হোসেন ছিলেন মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক। আর বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামান তার দাদা।
দীপ্তি সরাসরি কোন রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত না থাকলেও ডাকসুর প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, ক্যাম্পাসে আসার পর থেকেই দেখেছি নিজের স্বার্থের জন্যে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে অপরাজনীতির ব্যবসা করছে অনেকে। এটা খুবই খারাপ লাগে। সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে কাজ করতে চাই। এ কারণেই এই পদে প্রার্থী হয়েছি।
বিগত সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শ্রবণা শফিক দীপ্তি ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শিকার হন। সে সময় তাকে বাম দলের অনুসারি বা কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করার অপচেষ্টা চালানো হয় উল্লেখ করে দীপ্তি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাকে নত হতে শেখায়নি। সেই চেতনাই আমাকে প্রতিবাদের শিক্ষা দিয়েছে। কোনো ক্ষমতা কিংবা লোভের কাছে নত না হয়ে পরবর্তি প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের আদর্শ বাস্তবায়নে শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে যাবো।
সাধারণ শিক্ষার্থিদের অধিকার আন্দোলনে দেশের মানুষ যাকে সব সময় সামনের সারিতে দেখেছেন সেই সংগ্রামী সেই নেত্রী শ্রবণা শফিক দীপ্তি ০৯ নম্বর ব্যালটে ভোট দিতে সকলের প্রতি আহ্বান রেখেছেন।