মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরার শ্রীপুরে অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি পেয়ারার আবাদ থেকেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পেয়ার আবাদ করে দারুনভাবে সফলতা পেয়েছেন বারইপাড়া গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম কনা।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কনা ১৫ বিঘা জমিতে সুস্বাদু পেয়ারার চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন অনেকেই আসছে তার এই বাগান দেখতে। তার এই সফলতা দেখে এখন অনেকেই পেয়ারা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তার কাছ থেকে অনেকেই চাষ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন।
পেয়ারা চাষি রাশেদুল ইসলাম কনা বলেন, ২০১৯ সালে ১৫ বিঘা জমিতে ‘থাই পেয়ারা-৫ ও থাই পেয়ারা-৮’ জাতের ৫ হাজার পেয়ারার চারা রোপণ করি। কোটচাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উন্নতমানের এই পেয়ারার চারা সংগ্রহ করা হয়। ২০২০ সাল থেকে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। এখন প্রতিদিন এ বাগান থেকে ২০ থেকে ২৫ মন পেয়ারা তোলা যায়। বছরে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হলেও প্রতিবছর ৪০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এছাড়া একই জমির চারপাশে দেশী কাগজি লেবুসহ আরো ৫ বিঘা জমিতে মসুর, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির বিশাল এক সমন্বিত চাষ।
পেয়ারার চাষ নিয়ে তিনি জানান, বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে পেয়ারার ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া পেয়ারা চাষের জন্য মূলত গাছের পরিচর্যার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কাটিং, পেয়ারা ব্যাগিং করলে ভালো হয়। আর আমি এ পদ্ধতিতেই চাষ করছি। তবে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী বাগান দেখে গেছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
পেয়ারা বাগান পরিচর্যাকারী শফিকুল আলম দানা বলেন, প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছে। এখানে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, এ অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজ ফল উৎপাদন বাড়াতে কাজ চলছে। তারই অংশ হিসেবে রাশেদুল ইসলাম কনার পেয়ারা আবাদ। তিনি উপজেলার সফল ফল চাষিদের মধ্যে অন্যতম। বিগত পাঁচ বছরে শ্রীপুর উপজেলায় ফল উৎপাদন প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। এই ধারাও অব্যাহত থাকবে।