মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : পুজোর ছুটি চলছে। আর সুযোগটিই কাজে লাগালেন বিনোদপুর বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক এসকে নুরুজ্জামান। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয় চত্ত্বরের মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। তবে স্থানিয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বেঞ্চ মেরামতের ওজুহাত দিলেও ইউএনও জানালেন আরেক গল্প।
বিনোদপুর বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক এবং এলাকাবাসির সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, দুর্গা পূজা উপলক্ষে বুধবার থেকে বিদ্যালয়ে ছুটি চলছে। আর এই সুযোগটি কাজে লাগাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসকে নুরুজ্জামান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ইদরিস হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন মূল্যবান কয়েকটি গাছ কেটে সরিয়ে ফেলতে। সেই অনুযায়ী সকাল থেকেই ৪ জন করাতি গাছ কাটছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তাই গাছ কাটতে তার প্রয়োজন হয়নি কোন অনুমোদন।
সরজমিনে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয় চত্ত্বরে গিয়ে দেখা যায়, করাতিরা গাছ কাটতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে একটি গাছ কেটে গুড়ি তুলে মাটি ভরাটও করে দেয়া হয়েছে। আর পাশে দাঁড়িয়ে তদারিক করছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ইদরিস হোসেন।
তবে ইদরিস হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালি মানুষ। তিনি তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন বলেই করতে হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোন সভাও হয়নি। গাছ কাটার সিদ্ধান্তও হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসকে নুরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কয়েকদিন পরেই জেএসসি পরীক্ষা। অনেকগুলো বেঞ্চ ভেঙ্গে পড়ে আছে। সেগুলো মেরামত করার জন্যেই একটি গাছ কাটা হয়েছে। আর এ জন্যে কারো অনুমতির দরকার আছে বলে মনে হয়নি।
স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসকে নুরুজ্জামান অন্তত একটি গাছ কাটার কথা স্বীকার করলেও মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল জানালেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর স্থানীয় তহশিলদারকে দিয়ে খবর নিয়েছি। কিন্তু সেখানে আদৌ কোন গাছ কাটা হয়নি। কিন্তু বিল্ডিংয়ের ক্ষতি হচ্ছে বলে কিছু ডাল কাটা হচ্ছে।