মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : করোনায় বেকার হয়ে পড়েছেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার আউনাড়া গ্রামের শিক্ষিত যুবক আলামিন হোসেন সোবহান। এক সময়ে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আলামিন গত ছয়মাস বাড়িতে বসে আছেন। এ অবস্থায় মানসিক ভারস্যাম্যহীন আলামিন নগদ অর্থের জন্যে বারবার চাপ দিচ্ছেন স্ত্রী মুক্তির উপর। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে তার উপর। সর্বশেষ সোমবার তার নির্যাতনের শিকার মুক্তিকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাসপাতালে চিকিত্সাধিন শারমিন আকতার মুক্তি একই গ্রামের পান্নু মিয়ার মেয়ে। ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্যে স্বামী আলামিন তার উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। এই টাকা পেলে সে নিজস্বভাবে একটি ব্যবসা করতে পারবে বলে আলামিন তাকে জানিয়েছে এমন অভিযোগ তার।
জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উপজেলার আউনাড়া গ্রামের অলিয়ার সর্দারের ছেলে আলামিন ওরফে সোবহানের সাথে শারমিন আকতার মুক্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মুক্তির বাবা মা সামর্থ অনুযায়ী তার স্বামীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু করোনায় বেকার হয়ে পড়ার পর থেকে তার চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
শারমিন আক্তার মুক্তি অভিযোগ করে বলেন, রবিবার রাতে খুব মারধর করেছে আমার স্বামী। পুরো শরীরে ব্যথা। কানেও শুনতে পারছি না। কোমরে লাথি মেরেছে। এলোপাতাড়ি মারপিটের কারণে হাটতে কষ্ট হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে গরম খুন্তির ছ্যাকা পর্যন্ত দিয়েছে আমার সে।
মুক্তি বলেন, বিয়ের পর আমার বাবার বাড়ি থেকে যতটুকু সম্ভব তাকে সাহায্য করেছে। কিন্তু এখন এতোটাকা দেয়ার সামর্থ তাদের নেই। কিন্তু দিন দিন স্বামীর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
এদিকে অভিযুক্ত স্বামী আলামিন হোসেন সোবহান যৌতুকের টাকার দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিয়ের পর ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতাম। করোনার কারণে বেকার হয়ে ৬ মাস বাড়ি পড়ে আছি। অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে বাড়ি পড়ে থেকে থেকে ডিপ্রেশনের মধ্যে আছি। এ অবস্থায় স্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলাম কিন্তু নির্যাতনের কথাটি সত্য নয়।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।