মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার মহম্মদপুরে সরকারি রাস্তার গাছ বিদ্যালয়ের দাবি করে চারটি মূল্যবান গাছ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দীঘা ইন্তাজ মোল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসি এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এলাকাবাসি জানায়, করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইন্তাজ মোল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সরকারি রাস্তার দুটি রেইনট্রি এবং দুটি বাবলা গাছ বিক্রি করে দেয়া হয়। শুধু তাই নয় নামমাত্র মূল্যে গাছগুলো বিক্রি করা হলেও চারটি গাছের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। অথচ কালাম শেখ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে গাছগুলো বিক্রি দেখিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি অতিরিক্ত অর্থ নিজেদের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তারা জানতে পারেন। যে কারণে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এ অবস্থায় বিষয়টি তদন্তের জন্যে ৯ মে রবিবার সরজমিনে তদন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার সকালে তারা মূল্যবান গাছগুলো কাটা শুরু করে। এ সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুছ আলী উপস্থিত থেকে গাছ কেটে সরিয়ে নিয়ে যান।
গাছ বিক্রির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ইউনুছ আলী বলেন, জায়গা সরকারি রাস্তার হলেও গাছগুলো বিদ্যালয়ের লাগানো। যে কারণে বিদ্যালয়ের স্বার্থে পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বিক্রি করা হয়েছে।
তবে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য নাসরিন বেগম। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে কয়েকমাস মিটিং হয় না। গাছ কাটার বিষয়ে কোনো সভা হয়েছে বলে জানা নেই।
এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গাছ বিদ্যালয়ের কিংবা সরকারি জায়গা যেখানেরই হোক যে কেউ ইচ্ছে করলেই কাটতে পারেন না। বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ এভাবে কাটার কোনো নিয়ম নেই। যদি কেউ আইন বহির্ভূতভাবে গাছ কেটে বিক্রি করেন, তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।