মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরায় পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে লাভলু দাস (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় দায়ী স্ত্রী স্মৃতি দাসকে আটক করেছে।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামের তপন দাসের ছেলে লাভলু দাস পৌরসভার সাজিয়াড়ার ঢালে সেলুনের দোকানে কর্মরত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লাভলু দাস প্রথমে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার সাচিলাপুর গ্রামের লক্ষ্মী দাসকে বিয়ে করেন। সেখানে তার দুটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রথম স্ত্রীর অগোচরে সে নিজের খালাতো বোন স্মৃতি দাসকে বিয়ে করে মাগুরা শহরের সাহাপাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু এই বিয়েতে পারিবারের সম্মতি না থাকায় উভয়ের মধ্যে মনোমালিণ্যের সৃষ্টি হয়। প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে ছিলো। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার ভোরে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা উভয়ের উপর আক্রমন চালায়। এ সময় স্ত্রী স্মৃতি দাস ফলকাটা চাকু দিয়ে বুকে আঘাত করলে লাভলু দাস গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর প্রতিবেশিরা তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার জানান, তারা উভয়ের উপর হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। ঘটনার পর লাভলু দাস মারা গেলেও স্মৃতি দাসও কমবেশি আহত হয়েছে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসারত স্মৃতি দাসকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।