মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডলের অপসারণের দাবিতে মাগুরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলাকারীরা মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে মাগুরা শহরের ভায়নার মোড়ে মহাসড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ব্যানার কেড়ে নেবার পাশাপাশি নির্বিচারে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে সেখান থেকে হটিয়ে দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী এবং প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, শেখ রিজু মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমাÐার। বিগত জুলাই আগস্টের আন্দোলনে তিনি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালান। ওই ঘটনার পরও মহম্মদপুর উপজেলা প্রশাসন তাকে নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মÐলের অপসারণ দাবি করে মঙ্গলবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের ভায়নার মোড়ে গিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান নিলে গোটা সড়ক জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রদল-যুবদলের বেশ কয়েকজন কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। এরই মধ্যে অতর্কিতে বেশকিছু লোকজন সড়ক দখল করে রাখা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের হামলার শিকার হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভকারী মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী রাতুল, সাদিয়া, সুবর্ণাসহ আরো অনেকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করেছেন।
শিক্ষার্থী রাতুল বলেন, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল নানাভাবে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অবমাননা করে আসছেন। তিনি ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আহাদের মাকেও অপদস্থ করেছেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের বোন জামাতা শেখ রিজুকে বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে ইউএনও পলাশ মÐলের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। কিন্তু অতর্কিতে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং অভিযুক্ত ইউএনওর অপসারণ দাবি করে মাগুরা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানিয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।