মাগুরা প্রতিদিন : সন্ত্রাসী হামলায় আহত মাগুরার জেলা যুবদলের সদস্য মিরান হোসেন (৪৩) শনিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।৩০ মার্চ ইফতারির পর রাত ৯ টার দিকে নাকোল বাজারের গ্রামী ফোনের গলিতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় মিরান।
এলাকাবাসী জানায়, নাকোল মল্লিক পাড়া জামে মসজিদের আদায়কৃত টাকার হিসাব চেয়ে কমিটির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি মেম্বার জামিরুল ইসলাম ধলার সাথে মিরানের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই ওইরাতে জামিরুল ইসলামের ছেলে ইমন মল্লিক, প্রতিবেশি সেলিম মল্লিকের ছেলে মুন্না মল্লিক, জিন্না মল্লিক, শান্তে মল্লিকের ছেলে রবিউল ইসলাম রবু সহ বেশ কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। ভারি কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মিরান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়।
মিরানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াসিকুর রহমান কল্লোলের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে মাগুরা সদর থানার সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর, শ্রীপুর সদর ও সব্দালপুর ইউনিয়নের যুবদল,ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী মীরান হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। বিক্ষুদ্ধ জনতা রাত ১১ টায় জামিরুল ইসলাম ধলা, শিহাব উদ্দিন এবং সিরাজের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
মিরানের মৃত্যুতে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, মাগুরা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক জনাব আলমগির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা জাহিদ, সদস্য সচিব আবদুর রহিমসহ জেলা যুবদল নেতৃবৃন্দ শোক অরকাশ করেছেন।
শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিস আলী বলেন, নিহতের স্ত্রী লাশের সাথে ঢাকায় অবস্থান করার জন্য মামলা হতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আসলেই মামলা হবে।এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।