আজ, শুক্রবার | ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | বিকাল ৩:৪৩

ব্রেকিং নিউজ :

মাগুরায় সোনালী ব্যাংক থেকে জাল নোট প্রদানের অভিযোগ

মাগুরা প্রতিদিন : মাগুরায় শ্রীপুর সোনালী ব্যাংকের নগদ কাউন্টার থেকে একজন মহিলা গ্রাহককে এক হাজার টাকার বিশটি জাল নোট প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা উলটো গ্রাহককেই দুষছেন বলে জানা গেছে।

ভূক্তভোগী ওই গ্রাহক শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের টুপিপাড়া গ্রামের জনৈক মোছা: শিউলী বেগম।

শিউলী বেগম জানান, গত ২৩ জুন রবিবার সকালে তিনি সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর শাখা হতে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। তখন ওই টাকার মধ্যে জাল টাকার অস্তিত্ব তিনি বুঝতে পারেন নি। পরে টাকাগুলো নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক শ্রীপুর শাখায় তার ছেলের একাউন্টে জমা দিতে গেলে জাল টাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই ব্যাংকের কাউন্টারম্যান বাবু জমাকৃত টাকার মধ্যে এক হাজার টাকার বিশটি জাল হিসেবে শনাক্ত করেন এবং টাকাগুলো যেখান থেকে পাওয়া গেছে সেখানে ফেরত দেওয়ার জন্যে ওই গ্রাহককে পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় বিষয়টি জানতে পেরে হতবিহ্বল শিউলী বেগম সোনালী ব্যাংক টাকাগুলো ফেরত দিতে দেন। প্রথমে তারা রাজী না হলেও পরে প্রতিবাদের মুখে টাকাগুলো ফেরত নিতে বাধ্য হয়। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সব মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই গ্রাহক শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগে শিউলি বেগম জানান, “রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শ্রীপুর সোনালী ব্যাংকে আমার একাউন্ট থেকে ৭০ হাজার তুলি। এক বান্ডিলে ১’শ খানা ৫০০ টাকার নোট ও ২০ খানা এক হাজার নোট দেয় ব্যাংক। আমি এই টাকাগুলো শ্রীপুর অগ্রণী ব্যাংকে আমার ছেলে মোস্তফা খানের একাউন্টে দিতে গেলে কাউন্টারে ৫০০ টাকার বান্ডিল নেন। পরে এক হাজার টাকার নোটগুলো হাতে নেওয়ার সাথে সাথে এক হাজার টাকার একটি নোট কাউন্টারম্যান ছিড়ে দেন। এবং বাকি ১৯ হাজার টাকা জাল বলে দ্রুত সেখান থেকে তুলেছি সেখানে ফেরত দিতে বলেন। আমি টাকাগুলো সোনালী ব্যাংকে ফেরত দিতে গেলে ব্যাংকের কাউন্টারম্যান তালবাহানা শুরু করেন। পরে অনেক কষ্টে টাকাগুলো ফেরত দিতে পারলেও ছেড়া ওই জাল নোটটি ফেরত নেয়নি ব্যাংক। এখন তারা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, আমি নাকি জাল টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে তাদের হেনস্তা করছি।”

শ্রীপুর অগ্রণী ব্যাংকের কাউন্টারম্যান বাবু ভুক্তভোগী ওই নারীকে এক হাজার টাকার সম্পূর্ণ টাকাগুলো জাল জানালেও সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করে বলেন, রবিবার দুপুরে এক মহিলা ব্যাংকে ৭০ হাজার টাকা জমা দিতে আসেন। তার মধ্যে ১’শ খানা ৫০০ টাকার নোট ও ২০ খানা এক হাজার টাকার নোট। এক হাজার টাকার নোটের বান্ডিলে ১ খানা জাল নোট পাওয়া যায়। পরে তিনি ওই টাকাগুলো জমা না দিয়ে টাকাগুলো ফেরত নিয়ে চলে যান৷

এ বিষয়ে শ্রীপুর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার কামাল আহম্মেদ বলেন, আমাদের ব্যাংক থেকে দেওয়া সম্পূর্ণ টাকার মধ্যে কোন জাল থাকার সুযোগ নেই। ওই মহিলার টাকার মধ্যে জাল নোট ছিল।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology