মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় রবিবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা রথি এই হামলা চালালেও সদর থানার ওসি হামলাকারিকে চিহ্নিত সন্ত্রাসি এবং মাদকসেবি বলে উল্লেখ করলেন।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন এবং যুগ্ম সম্পাদক তিতাস উদ্দিন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডুর সাথে দেখা করার জন্যে শহরের জামরুল তলায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে যায়। এ সময় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি রথি মোল্যা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে হালিম খাচ্ছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা রথি তার গায়ে ধাক্কা দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রথি সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র বের করে তাদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে গিয়াস এবং তিতাস মারাত্মকভাবে জখম হয়। ঘটনার পর উপস্থিত পথচারিরা তাদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। আহত দুই ছাত্রলীগ নেতা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদি হাসান রুবেলের অনুসারি বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদি হাসান রুবেল বলেন, হামলাকারি রথি জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আলি হোসেন মুক্তার চাচাতো ভাই। তবে এটি রাজনৈতিক কোন বিষয় নয় বা দলীয় কোন্দলও নয়। তবে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে রক্তারক্তির ঘটনা খুবই দু:খজনক।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক ফারুক হোসেন জানান, আহত দুই জনের মাথা, গলা এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের অনেকগুলো আঘাত রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় চিকিত্সা দেয়ায় তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, হামলাকারি রথি ছাত্রলীগ নেতা কিনা জানিনা। তবে সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসি। ইতোপূর্বে অস্ত্রসহ পুলিশ তাকে একবার আটক করেছে। আজও মাতাল অবস্থায় সে দুইজনের উপর হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পরপর রক্তাক্ত চাকুসহ তাকে আটক করা হয়েছে।