মাগুরা প্রতিদিন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাগুরার দুটি আসনের সীমানা নতুন করে ঠিক করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় সংসদের ৯১নং (মাগুরা-১) এবং ৯২ নং (মাগুরা-২) আসন।
সংসদীয় এই দুটি আসনের আওতাভুক্ত উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়ন ভাগ হয়ে অন্য সংসদীয় আসনে চলে গেছে। এতে এক উপজেলার বাসিন্দাকে ভোট দিতে হয় অন্য কোনো উপজেলার প্রার্থীকে। এমন সংসদীয় আসন মাগুরা-১ ও মাগুরা-২।
মাগুরা-১ আসনটি শ্রীপুর উপজেলা এবং সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। অন্যদিকে সদর উপজেলার বাকি ৪টি ইউনিয়ন এবং শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলা নিয়ে মাগুরা-২ আসন গঠিত। এ অবস্থায় জেলার সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর, গোপালগ্রাম, কুচিয়ামোড়া ও বেইরল পলিতা এই চারটি ইউনিয়নের ভোটারকে সংসদ নির্বাচনে অন্য আসনে অর্থাৎ মাগুরা-২ আসনে ভোট দিতে হচ্ছে। বিধায় এ দুটি আসনের সীমানা পুননির্ধারণ প্রয়োজন মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসন ছাড়াও দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে অন্তত আরো ৪৩টি আসনের সীমানা নতুন করার পরিকল্পনা কমিশনের।
জানা গেছে, আসন পরিবর্তনের বিষয়ে একটি অ্যাপ তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেখানে আসনভিত্তিক সব তথ্য থাকবে।
ইসিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হলেও বিতর্ক ও ঝামেলা এড়াতে এবার জনসংখ্যার ভিত্তিতে নয়, প্রশাসনিক এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনকে আইনের অধীনে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়ে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ’ আইন পাস হয়। আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইসির সীমানা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার ঘনত্বের বিষয়টিই বিবেচনা করা হতো। এবার প্রশাসনিক অখণ্ডতা ধরে হলেও জাতীয় সংসদের অন্তত ৪৫টি আসনের এলাকা পরিবর্তন হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এর আগে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে খসড়া তালিকা প্রণয়ন করা হবে আগামী মার্চের মধ্যে। এপ্রিলে সেটি প্রকাশ করা হবে।
এরপর দাবি, আপত্তি অথবা সুপারিশ আহ্বান করবে ইসি। মে মাসে আপত্তির বিষয়ে অঞ্চলভিত্তিক শুনানি নিষ্পত্তি করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।